মহান আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনেরা ধর্মীয় দৃষ্টিতে সম্মানিত ব্যক্তি। মুয়াজ্জিনের সুমধুর আযানের ধ্বনি নামাজের জন্য আহবান করে সম্মিলিত মুসল্লীদের সাথে নিয়ে ইমাম ইমামতির মাধ্যমে নামাজ আদায় করে থাকেন। ইমাম মুয়াজ্জিন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজপতি হিসেবে তাদের যথেষ্ট কদর রয়েছে। তারা তাদের উপর অর্পিত মুসল্লিদের হ্ক আদায়ে সচেষ্ট ও দায়িত্বশীল।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সামান্য মাসিক বেতনে ইমাম মুয়াজ্জিন তাদের পরিবার চালানো কষ্টকর। তাদের জীবন সম্মানী হলেও তাদের অবহেলিত মাসিক বেতন। সময়ের চাহিদানুযায়ী দ্রব্যমূল্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়াতে চাহিদা থাকলে ইমাম মুয়াজ্জিনের সামান্য বেতনে পণ্য ক্রয় করতে খুব কষ্ট ভোগ করতে হয়। অনেক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও অধ্যয়ন শেষ করা হুজুর মাওলানারা মসজিদের সামান্য বেতনে তাদের যাপিত জীবন চলা বেশ কষ্টকর বলে ইমাম মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে আসতে চায় না তারা বিভিন্ন ব্যবসা ও চাকরি বেছে নিচ্ছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সময় উপযোগী বেতন ইমামের কমপক্ষে বিশ হাজার ও মুয়াজ্জিনের পনের হাজার টাকা সম্মানী প্রদান করা বড়ই প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারিভাবে ইমাম মুয়াজ্জিনের জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সম্মানী ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
আবদুল কাদের
চট্টগ্রাম।