চট্টগ্রামের ইমাম গ্রুপের মালিক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলা রয়েছে ১০ টি। আইএফআইসি, ন্যাশনাল, জনতা ও অগ্রণীসহ পাঁচটি ব্যাংক মামলাগুলো দায়ের করে। এসব মামলায় তার খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের ১৪১ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৭১ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের একটি মামলায় মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছার বিলাস বহুল বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাড়িটি নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর রোডে অবস্থিত। ৯৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের জে বি হাউস নামের দ্বিতল বাড়িটি থেকে ব্যাংকের পাওনা ঋণ আদায় করা হবে।
গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে বলেন, আইএফআইসি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার দায়ের করা অর্থঋণ জারি মামলায় শীর্ষ ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী জেবুন্নেসার বসত বাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া আদেশ অনুযায়ী ক্রোককৃত সম্পত্তির উপর ক্রোক আদেশ সম্বলিত ৪টি সাইন বোর্ড স্থাপন করা হবে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালে ৬১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষে অর্থঋণ মামলাটি দায়ের করেছিল আইএফআইসি ব্যাংক। ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ওই মামলায় ডিক্রি হয় এবং টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু মোহাম্মদ আলী আদেশ অনুযায়ী টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ১৪১ কোটি টাকা ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৭১ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে অর্থজারি মামলা করা হয়।
আদালত সূত্র আরো জানায়, এ মামলা চলাকালে ডিক্রিদার ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা এবং ছেলে আলী ইমামের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আলী ইমাম হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা দায়ের করলেও অর্থঋণ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। প্রতারণামূলকভাবে অন্যের সম্পত্তি বন্ধক রেখে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছিলেন মোহাম্মদ আলী। বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় করা সম্ভব না হওয়ায় বসত বাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত উল্লেখ করে বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী দুবাই বসবাস করেন। তাদের বিরুদ্ধে আইএফআইসি, অগ্রণী, জনতা ও ন্যাশনালসহ পাঁচটি ব্যাংকের পাওনা হাজার কোটি টাকা।