পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ নিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকা হয়েছে আগামী শুক্রবার। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার গতকাল রোববার একথা জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটিই হতে চলেছে ইমরান খানের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। খবর বিডিনিউজের। এ মাসে বিরোধীদলগুলোর একটি জোট ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। তারা বলছে, দল থেকে এক ডজনের বেশি সদস্য বের হয়ে যাওয়ার কারণে ইমরান পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। এতে দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। সংবিধানের আওতায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করতে হয়। সে অনুযায়ী স্পিকারের হাতে ২১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন আহ্বানের সময় আছে। কিন্তু স্পিকার অধিবেশন আহ্বান করেছেন ২৫ মার্চ (শুক্রবার)। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে স্পিকারের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধিবেশন আহ্বানের তারিখ কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ২৩ মার্চে ইসলামাবাদে ইসলামিক দেশগুলোর সম্মেলন আছে।
বিরোধীদলগুলো ইমরান খানের বিরুদ্ধে অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতিতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমরান।
পাকিস্তানে কোনও প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। আর ইমরানের দল ছেড়ে ভিন্নমতাবলম্বী আইনপ্রণেতারা চলে যাওয়ায় তার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম ১৭২ আসনেরও প্রায় এক ডজন আসন কম হয়ে গেছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিরোধীদলগুলোর জোটবদ্ধভাবে ১৬৩ টি আসন আছে। তবে দলছুট এমপি’রা অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে বিরোধীপক্ষে যোগ দিলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যেতে পারে।
তাছাড়া, বিরোধীপক্ষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের আর সদ্ভাব নেই, যে সেনাবাহিনীর সমর্থন পাকিস্তানে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরানের দল চার বছর আগে সেনাবাহিনীর সমর্থনেই ক্ষমতা অর্জন করেছিল। তবে দু’য়ের মধ্যে সদ্ভাব নেই-এমন কথা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান খান এবং সেনাবাহিনীও।