চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে দুটি করে ইভিএম থাকবে বলে জানা গেছে।
আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য নগরীর পাঁচটি স্কুল ও কলেজে মজুত রাখা হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার ইভিএম। গত মার্চ থেকে ৯ মাস ধরে এসব ইভিএম মজুত রাখা হয়েছে। আসন্ন ২৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইভিএমগুলোর কোয়ালিটি চেক করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ২২ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম চট্টগ্রাম এসেছে। টিমের সদস্যরা নগরীর জিমনেশিয়াম, নাসিরবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ কলেজ, আগ্রাবাদ সরকারি কলোনী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত ইভিএমগুলোর কোয়ালিটি চেক করছেন।
সংরক্ষিত ইভিএমগুলো দেখা শোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মচারী (সাঁটলিপিকার) গোলাম হোসেনকে। গতকাল এই বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্র্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে মজুদকৃত ইভিএমগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য ২২ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল টিম ঢাকা থেকে এসেছে। নির্বাচনের জন্য ১১ হাজার ৫৭২টি ইভিএম মজুদ আছে। টেকনিক্যাল টিমের সদস্যরা এর মধ্যে ৭ হাজার ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। ইভিএমগুলোতে পরিপূর্ণভাবে চার্জ দিয়ে ভোটগ্রহণের উপযোগী ও সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। সবগুলোর কোয়ালিটি চেক করতে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, আসন্ন চসিক নির্বাচনের জন্য প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা) প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ বাড়তি হিসাব ধরে মোট ১৬ হাজার ১৭২ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হবে বলে নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।