ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ফ্লোরেস দ্বীপে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ২৩ জনের মৃত্যু, নয় জন আহত ও পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন; প্রতিবেশী ক্ষুদ্র দেশ পূর্ব তিমুরে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি জানিয়েছেন, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফ্লোরেসের অন্তত ৪৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, লামানেলে গ্রামের বহু বাড়ি কাদার নিচে চাপা পড়েছে, বাড়িগুলোর বাসিন্দারা বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছেন। আরও পূর্বের আদোনারা দ্বীপে একটি সেতু ধসে পড়েছে, সেখানে উদ্ধারকারীরা ভারি বৃষ্টিপাত, প্রবল বাতাস ও ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিল্লিতে ভূমিধসে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাতোলি জানিয়েছে। এখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছি, পূর্ব তিমুরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জোয়াকিম গুজমাও এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে তাতোলি। এখানে নিহতদের মধ্যে দুই বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টাসের্র একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন। শনিবার রাত থেকে দিল্লিতে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শহরটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টে ধসে পড়া ভবন ও আকস্মিক বন্যায় ডুবে থাকা গাড়ি দেখা গেছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের দক্ষিণ প্রান্ত ও পূর্ব তিমুরের উত্তর উপকূলের মধ্যবর্তী সাভু প্রণালীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এর প্রভাবে বৃষ্টি, ঢেউ ও বাতাস আরও জোরদার হতে পারে।