গল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে টেস্ট ম্যাচ জেতার রেকর্ডটি স্বাগতিক শ্রীরংকার। আর সেটিও ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা। পাকিস্তানকে সে রেকর্ড ভাঙতে হলে করতে হবে ৩৪২ রান। আর সে পথে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে ৩ উইকেটে ২২২ রান তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। বাকি আছে ১২০ রান। হাতে রয়েছে এখনো সাত উইকেট। সেঞ্চুরি করা আবদুল্লাহ শফিক অপরাজিত আছেন ১১২ রানে। কাজেই ইতিহাস গড়ার পথে পাকিস্তান বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বলাই যায়। যদিও পাকিস্তানকে রুখতে গেলে লংকানদের সবচাইতে বড় ভলসার নাম প্রবাথ জয়সুরিয়া। যদিও তার মায়াবী ঘূর্ণি এখনও পাকিস্তানকে তেমন বিপাকে ফেলতে না পারলেও তুলে নিয়েছেন ২টি উইকেট। গলে যদি অঘটন ঘটাতে পারে, তাহলে এই বাঁ হাতি স্পিনারই পারেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত নিয়েছেন ২ উইকেট।
তবে এই স্পিনারের ঘূর্ণি উপেক্ষা করে দুর্দান্ত এক জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে পাকিস্তান। ৩৪২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে এরই মধ্যে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুটা বেশ ভাল করেছিল পাকিস্তান। দুই ওপেনার শফিক এবং ইমাম মিলে যোগ করেন ৮৭ রান। ৩৫ রান করা ইমাম স্টাম্পিং হয়ে ফিরেন।
তবে অভিজ্ঞ আজহার আলি পারেননি এই ইনিংসেও রানের ফিরতে। ৬ রান করে ফিরেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তবে তৃতীয় উইকেটে শফিক এবং বাবর মিলে যোগ করেন ১০১ রান। দিনের একেবারে শেষভাগে এসে ফিরেন বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে অসাধারন এক সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে নেওয়া বাবর এবার করেন ৫৫ রান। ১০৪ বলের ইনিংসে ৪টি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছেন বাবর। এরপর রিজওয়ানকে নিয়ে দিন শেষ করেন আবদুল্লাহ শফিক। ২৮৯ বলে ৫টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ১১২ রানে অপরাজিত রয়েছেন শফিক। আর তার সাথে ৭ রানে অপরাজিত আছেন রিজওয়ান। আজ শেষ দিনে তুলতে হবে মাত্র ১২০ রান।