চট্টগ্রাম থেকে প্রথমবারের মতো নারী প্রার্থী হিসেবে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ইতিহাস সৃষ্টি করে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।
বিজয়ী হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মহান রাব্বুল আলামিনের অসীম দয়ায় শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। তার ওপর আস্থা রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ সিনিয়র সকল রাজনীতিবিদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নিজের জয় ফটিকছড়িবাসীর প্রতি উৎসর্গ করে সনি বলেছেন, আমার অসীম ঋণ ফটিকছড়ির মানুষের কাছে। যারা বিপদে আপদে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও আমার পাশে ছিলেন।
তিনি বলেন, ফটিকছড়ির সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে একটি বাসযোগ্য এবং উন্নত ফটিকছড়ি গড়ে তোলার জন্য আমি কাজ করব। পিতা সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের কথা স্মরণ করে বলেন, আমার বাবা এই ফটিকছড়ির মাটি ও মানুষকে অকৃত্রিম ভালোবাসায় আগলে রেখেছিলেন। বাবার মতো আমিও সারাজীবন ফটিকছড়িবাসীর সাথে থাকতে চাই। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আমি ফটিকছড়িকে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে চাই।
খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বিগত সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে অনুষ্ঠিত ১১টি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে কোনো নারী প্রার্থী সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হননি। নির্বাচন থেকে তার সরে দাঁড়াতে চাপ ছিল। এ নিয়ে নানা নাটকীয়তাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করে বিজয়ী হন এবং ইতিহাস গড়েন।