ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবিকা হিসেবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন নিয়েছেন স্বর্ণা রহমান (২৭)। বিদায়ী বছরের শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার ভেনিসের মনফালকোনের একটি হাসপাতালে এ ভ্যাক্সিন নেন তিনি।
এবিষয়ে স্বর্ণা বলেন, ইতালির প্রথম কোন বাংলাদেশি হিসেবে করোনা ভ্যাক্সিন গ্রহণ করাটা সত্যিই আমার জন্য খুব গর্বের বিষয়। আমি সবার দোয়া কামনা করছি। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে স্বর্ণার বাবা আজিজুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। খবর বিডিনিউজের।
বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেডিসিন বিভাগের অনুমতি নিয়ে ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাঙিন প্রয়োগ শুরু করে ইতালি। প্রথম ধাপে দেশটির মোট ৯ হাজার ৭৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক মানুষের শরীরে এ ভ্যাঙিন প্রয়োগ করা হয়।
এছাড়াও নতুন বছরের প্রথমদিকে আরো প্রায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষের শরীরে এ ভ্যাঙিন প্রয়োগের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাঙিন প্রয়োগ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কোন বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবিকা হিসেবে বৃহস্পতিবার স্ব-ইচ্ছায় ভ্যাঙিন নিলেন স্বর্ণা।
ইতালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মনফালকোনে-তে পরিবারের সাথে বসবাস করেন স্বর্ণা। তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া শেষ করে ২০০৪ সালে পরিবারের সাথে ইতালিতে পাড়ি জমান। পরে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। বর্তমানে স্বর্ণা ‘সান পাওলো মনফালকোন’ হাসপাতালে একজন সেবিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পিতা আজিজুর রহমান ও মাতা মাহফুজা রহমান দম্পতির প্রথম কন্যা স্বর্ণা রহমান। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের দোহারে।