রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) নিয়ে সামপ্রতিক সময়ে নেওয়া একাধিক সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এবার ঋণ দেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা কমানো হয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারে জানিয়েছে, এ তহবিল থেকে আগের চেয়ে ৫০ লাখ ডলার কম ঋণ পাওয়া যাবে। এতে বলা হয়েছে, সব ধরনের ব্যাক–টু–ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে রপ্তানির কাঁচামাল আমদানিতে ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণের সীমা দেড় কোটি থেকে কমিয়ে এক কোটি ডলার করা হয়েছে। একইভাবে সব বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্য রপ্তানিমুখী কোম্পানির জন্য ঋণের সীমা ৫০ লাখ ডলার কমিয়ে সর্বোচ্চ সীমা আড়াই কোটি থেকে দুই কোটি ডলার করা হয়েছে। এতে করে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বস্ত্র খাতের বিটিএম এর সদস্যরা এখন থেকে ইডিএফ ঋণ নিতে পারবে সর্বোচ্চ দুই কোটি ডলার, এতদিন যা ছিল আড়াই কোটি ডলার। অপরদিকে বিকেএমইএ, চামড়াজাত ও ফুটওয়্যার রপ্তানিকারক খাতের উদ্যোক্তারা দেড় কোটি ডলার; বাংলাদেশ ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিওয়াইএ) সদস্যরা এক কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবেন। খবর বিডিনিউজের।
১৯৮৯ সালে মাত্র ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে গঠিত ইডিএফের আকার বেড়ে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে সাত বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদ ও সহজ শর্তে অর্থায়ন করতে রিজার্ভ থেকে এ তহবিল গঠন করা হয়। তবে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার সময় রিজার্ভের হিসাব থেকে ইডিএফসহ সব ধরনের তহবিল বা দায় পৃথক করতে সম্মত হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকে ইডিএফের আকার কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে তা ৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। অপরদিকে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ আলোচনার মধ্যেই ইডিএফের বিকল্প হিসেবে সেটির আদলে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করতে স্থানীয় মুদ্রা টাকায় দুটি বড় আকারের তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপরদিকে ইডিএফ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়া নিরুৎসাহিত করতে সুদহার সাড়ে ৪ শতাংশে উন্নীত করার পাশাপাশি অনাদায়ী অর্থের উপর অতিরিক্ত ৪ চার শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।