খাগড়াছড়িতে অবৈধ ৮ ইটভাটায় কাজ করছে শিশুরা। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও তার তোয়াক্কা করছেন না ভাটা মালিকেরা। অর্ধেক মজুরিতে কাজ করানো হচ্ছে। দৈনিক বার ঘণ্টা কাজ করলে তাদের দেয়া হচ্ছে মাত্র ২শ’ টাকা। দেশে সরকার শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলেও তার তোয়াক্কা করছেন ইটভাটার মালিকেরা। উল্টো শিশুশ্রমের পক্ষে সাফাই গাইছেন তারা। মূলত মজুরি কম দিতেই ভাটাগুলোতে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হয়। তাও আবার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হয়। যে বয়সে শিশুদের দুরন্ত শৈশবের খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা সেখানে সারাদিন কাজ করছে ইটভাটায়। ভাটার মৌসুমের শুরু থেকে শিশুরা এখানে কাজ করছে। ভাটায় শিশুদের দিয়ে মাটি কাটা, কাঁচা ইট পরিবহন, নামানো-ওঠানোসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা-তবলছড়ি সড়কে ফাইভ স্টার ব্রীক্স ম্যানুফেকচারের শিশুদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। ফাইভ স্টার ব্রীক্স ম্যানুফেকচারে কাজ করছে অন্তত ১০ জন শিশু। তারা ট্রলিতে করে ইট পরিবহন করছে। দুরন্ত শৈশবের পরিবর্তে এখানে শিশুদের দিন কাটে ভারী কাজ করে।
ভাটায় কাজ করা শিশু শ্রমিক বিকাশ ত্রিপুরা, রনি ত্রিপুরা, জয় ত্রিপুরা, খমিরঞ্জন ত্রিপুরা বলে, ‘আমরা ভোর হলে ভাটায় কাজ করতে আসি। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এখানে সারাদিন কাজ করে দুইশ’ টাকা বেতন পাই। ইটভাটায় কাজ করতে খুব কষ্ট হয়।’ ইটভাটায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর পক্ষে সাফাই গাইলেন ফাইভ স্টার ব্রীক্স ম্যানুফেকচারের মালিক বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ শিশুরা খুব দরিদ্র পরিবারের। তাই এখানে তারা কাজ করে। দৈনিক দুইশ’ টাকা মজুরি পায়। কাজ না করলে টাকা পাবে কি করে।’
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘যেসব ইটভাটায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে আমরা সেসব ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। কেবল ইটভাটায় না যেখানেই শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হবে আমরা সেখানে অভিযান চালাব।’