ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাহস যুগিয়েছে আজাদী সেমিনারে শিক্ষা উপমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, দৈনিক আজাদী পত্রিকা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমাদের উৎসাহ এবং সাহস যুগিয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল শিক্ষার হারের দিক থেকে, সাক্ষরতার হারের দিক থেকে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে ছিল। আমাদের সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা ছিলেন দৈনিক আজাদী প্রতিষ্ঠাতা আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে ‘মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, দৈনিক আজাদী এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি সেমিনারটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ‘৬০ বছরে দৈনিক আজাদী’ নামে বইটি তুলে দেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে পাঠ এবং সংবাদপত্রের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহসহ সর্বোপরি সার্বজনীন মহলে একটি চর্চা আনতে পেরেছিলেন। সে সময়টাতে বাঙালি মুসলমান সমাজ বিশেষ করে শিক্ষা দীক্ষা এবং জ্ঞানচর্চা থেকে অনেক বিচ্যুত ছিল। ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক আজাদী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে চমৎকার একটা উদাহরণ রেখে গেছেন। তিনি সমাজের জন্য একটা গুণগত পরিবর্তন রেখে গেছেন। তাঁর প্রগতিশীলতার প্রতি আদর্শিক অবস্থানে থেকে আধুনিক মননশীলতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। সামন্তবাদী সমাজের মধ্যে সার্বজনীনভাবে একটা পত্রিকা যেটা সবাই পাঠ করবে, এই অনুশীলনটি তিনি যেভাবে এনেছেন, আজকের আজাদী পত্রিকা আমি বলবো না এটা কেবল স্থানীয় পত্রিকা হিসেবে বিবেচিত।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হলে অনেকে জাতীয় পত্রিকা হয়ে যায়। তবে আজাদীর সাথে সম্পৃক্ততা জাতীয় পর্যায়ে সকল বুদ্ধিজীবী এবং আমাদের সিভিল সোসাইটির সবার সাথে ছিল। কঠিন সময়ে আজাদীর সৃষ্টি, এখন আবারও কঠিন সময়ের সৃষ্টি হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক সাহস নিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে বজায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সংবাদপত্রে আজকে বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত পরিবর্ত আসছে এবং তার যে গুরু দায়িত্ব সেটা আমাদের পালন করতে হবে। শুধুমাত্র তথ্য উপাত্ত পাওয়ার জন্য সংবাদপত্রের ব্যবহার নয়। এখন অনেক ভূঁইফোড় সংবাদপত্র সংবাদের নামে গুজব ছড়াচ্ছে। যত্রতত্র আইন না মেনে ফেসবুক পেজ খুলে কিংবা ওয়েবসাইট খুলে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমার মনে হয় না পৃথিবীর আর কোথাও গণমাধ্যমে এই ধরণের অরাজকতা আছে। আমাদের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের। তিনি সেসবে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছেন। কিছু কিছু শৃঙ্খলা এনেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক কিভাবে তাকে মূল্যায়ন করা যায়, তিনি তো এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছেন যাকে যেকোনো একটা নিরীখে বিচার করা যায় না। তিনি তাৎপর্যপূর্ণ জীবন যাপন করেছিলেন, তাঁর সম্পর্কে বলতে গেলে ভাবনায় পড়ে যাই। কারণ তিনি তো বহু গুণে গুণান্বিত একজন ব্যক্তি। জীবনের সব দিক থেকে আলোকিত করেছেন এই ক্ষণজন্মা মানুষটি, এক জীবনে বহু জীবনের কাজ করে গিয়েছিলেন। তাঁর প্রত্যেকটি কাজ ছিল সংগ্রামী, বিপ্লবী, অনুকরণীয় ও সমগ্র জাতি তথা মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত। এক ধরণের মানুষ থাকে যারা ব্যক্তি থেকে সমষ্টির কল্যাণের জন্য নিজেকের উৎসর্গ করেন। তারা ভাবেন অন্যের উন্নতি না হলে নিজের উন্নতি টেকসই হবে না। বিত্তের মানুষ আর চিত্তের মানুষের মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। বিত্তের মানুষকে অনেকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তোষামোদ করে। এই ধরণের মানুষ মরে যাওয়ার সাথে সাথে পৃথিবী থেকে তাদের নাম মুছে যায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি জ্ঞানী পরোপকারী চরিত্রবান এবং তার ধনসম্পদ না থাকলেও মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। এই ধরণের মানুষ কোনো কিছু প্রত্যাশা করে না, তাই মরে গিয়েও অমর হয়ে থাকেন। পৃথিবীর অনেক মহৎ অনেক ব্যক্তি আজো স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন তাদের মহৎ কাজের জন্য। ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক অঢেল বিত্তের অধিকারী ছিলেন না কিন্তু ছিলেন উদার, মহৎ ও মানবজাতির। এমন মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকেন।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, আমরা জানি মানুষ তার কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকেন। ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক এই প্রজন্মের কাছে তেমন পরিচিত নন, কারণ তিনি এখন বেঁচে নেই। তিনি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং তিনি সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি পরিত্যাগ করে সংবাদপত্র প্রকাশের মতো দুঃসাহসী কাজে তিনি নেমেছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে দেখলে মনে হয় না, তিনি এতটা দৃঢ় প্রত্যয়ী। তিনি প্রথমত দরবেশ টাইপের একজন মানুষ ছিলেন। সুফি সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ছিলেন আসলেই একজন সাধক। মহৎপ্রাণ ব্যক্তি যার সকল কর্মকাণ্ডে আমরা দেখি মনুষ্যত্বের সাধনা। মানুষ তাঁর কর্মে তাঁর জ্ঞানে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাবে, এটি মানুষ সৃষ্টির পেছনে স্রষ্টার প্রধান লক্ষ্য। রসূল (সা:)ও তাই বলেছেন। মানুষকে ভালোবাসো। মুসলমান হয়ে মুসলমানকে ভালোবাসবো, হিন্দু হিন্দুকে ভালোবাসবে এটা নয়। মানবিকতার জন্য আমরা পৃথিবীতে এসেছি। সেজন্য মানুষ হলো আল্লাহর প্রতিনিধি। এই বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন সুফি সাধক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক।
তিনি আরো বলেন, মানুষের সকল কর্মকাণ্ড উদ্দেশ্যমুখী। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যদি আমি আমার পেশা শেষ করি তাহলে আমি প্রধান প্রকৌশলী হব। আমার মৃত্যুর পর এটাই শেষ। প্রধান প্রকৌশলী অনেকে আছেন। আজ ৬০ বছর পরেও আমরা তাকে অবনত মস্তকে স্মরণ করছি, তিনি এক যুগান্তকারী কাজ করেছিলেন। অন্যদের পক্ষে যেটা সম্ভব হয়নি। সহজ সরল মানুষটি সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনায় অনেক অগ্রগামী ছিলেন সেটি আমরা দেখতে পাই। সুতরাং জীবনে তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। মনুষ্যত্বের সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন এবং পত্রিকার মাধ্যমে শুধু চট্টগ্রাম নয় দেশ ও দেশের বাইরেও আজাদীতে কি লিখেছে সেটার জন্য মানুষ অপেক্ষা করে।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, আপানারা জানেন সংবাদপত্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পাঠক। সুতরাং পাঠকরা যেখানে সেখানে আমাকে যেতে হবে, আমার পত্রিকা সেখানে যাবে। আমার বাবা এমন একটা কাজ সে সময় করেছিলেন যখন সংবাদপত্র বলতে চট্টগ্রামে এমন কিছু ছিল না। তার আগেও সংবাদপত্র চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক পত্রিকাও প্রকাশিত হয়েছে। সেটাকে চালিয়ে যাওয়ার মতো সেই শক্তি দৈনিকের ছিল না। তাই কিছুদিন পর পর পত্রিকা বের হত। কিন্তু একমাত্র আজাদী পত্রিকা যখন থেকে বের হয়েছে, সংবাদপত্র যে প্রতিদিন বের হতে হয়, তার নির্দিষ্ট গতি থাকতে হয়, এখন পর্যন্ত আমরা সেটি চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দৈনিক আজাদী ১৯৬০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হয়। তার দুই বছর পর ১৯৬২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আমার বাবা ইন্তেকাল করেন। আমার ওপর যে ভারটা পড়েছিল তা হচ্ছে আজাদী পত্রিকাটা চালিয়ে যাওয়া। সেটা কতদূর পেরেছি জানি না; চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংবাদপত্র যখন বিভিন্ন সময় বের করেছে; তারা ঢাকা থেকে সম্পাদক এনে, এমনকি অন্যান্য সেকশনের লোকজনও নিয়ে এসেছে, আমাকে অনেকে ঢাকায় গিয়ে সংবাদপত্র প্রকাশ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। আমি কিন্তু রাজি হইনি। কারণ আমার বাবা জাতীয় পত্রিকা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন-চট্টগ্রামের একটা সংবাদপত্র হোক, যেটা চট্টগ্রামের সুখ দুঃখের কথা বলবে। আমরা বাইরে থেকে সাংবাদিক না এনে চট্টগ্রাম থেকে সাংবাদিক নিয়ে সংবাদপত্র প্রকাশ করেছি। আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা ৬২ বছর ধরে কাগজটা কিভাবে চালিয়ে গেলেন। আমি বলি দেখেন, প্রত্যেক পাঠকের একটা প্রত্যাশা থাকে, আমি এই কাগজের কাছে চাই, প্রত্যেক পাঠকের শতভাগ চাহিদা পূরণ করা কারো পক্ষে সম্ভব না, কিন্তু আমার ধারণা আমরা পাঠকের ৭০-৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি, যার কারণে পাঠক ৬২ বছর আমাদের কাগজ পড়ে যাচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন (্‌আইইবি) চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর কুমার সেন বলেন, আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার একজন উজ্জল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমি নিজেও একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এমন একজন গুণীজনের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা আইইবি’র পক্ষ থেকে ওনার জন্য যা কিছু করা সম্ভব, আমরা করবো।
দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক বলেন, আমার দাদা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ১৯৬০ সালে দৈনিক আজাদী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওনার মৃত্যুর পরে আমার ফুফা প্রফেসর মোহাম্মদ খালেদ এই পত্রিকার হাল ধরেছিলেন। বর্তমানে আমার বাবা এই পত্রিকার সম্পাদক। দোয়া করবেন ওনারা যে পথ আমাদের দেখিয়েছেন, যে পথে চলেছেন আমরাও যেনো ওনাদের সুন্দর পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারি।
রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেসানুল হক চৌধুরী বাবুল বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদী। ইত্তেফাকের মানিক মিয়া প্রফেসর খালেদ সাহেবকে বলেছিলেন- আপনাদের আজাদীটা আমাকে দিয়ে দেন, ইত্তেফাকটা নিয়ে যান। আজাদী এতটাই পপুলার। ঢাকা থেকে বহু দাবি এসেছিল ঢাকা থেকে প্রকাশ করার জন্য। সিআরবি নিয়ে একটু বলতে হয়- আজকে (গতকাল) সিআরবি প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব মহোদয়কে বলেছি- দেখেন আমাদের হাসপাতাল দরকার আছে, আমি তো চেন্নাই গিয়ে চিকিৎসা করি, আমি তো চিকিৎসা নিই সিঙ্গাপুর গিয়ে, ব্যাংকক গিয়ে। সিআরবিতে হাসপাতাল হলে মেডিকেল কলেজ হবে, চায়ের দোকান হবে, ওষুধের দোকান হবে, হোস্টেল হবে, জায়গা তো ৬ কানি, সিটি কর্পোরেশন তো জায়গা দিয়েছে নন্দীরহাটে ৫০ কানি। ফৌজদারহাটে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল আছে। ইতোমধ্যে আমাদের রাউজানের এমপি ফজলে করিম চৌধুরী মহোদয় দেখাও করেছেন।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ইসলাম বলেন, দেশের প্রত্যেক ক্রান্তিকালে দৈনিক আজাদী লেখনির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার চট্টগ্রামের মানুষের মুক্তির কথা বিবেচনা করে আজাদী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চট্টগ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য তিনি আজাদী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাধীন সংবাদ পাঠক সমিতির সভাপতি সংবাদিক এস এম জামাল উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনার উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, চট্টগ্রাম রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেঙ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর আলী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সিআরবি আমার মা বিক্রি করতে দেব না’
পরবর্তী নিবন্ধইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ