কর্ণফুলী নদীর বদলপুর অংশের মেরিন একাডেমি জেঠি সংলগ্ন খালের মুখ থেকে ১২০০ কেজি চোরাই গম উদ্ধার করা হয়েছে। একটি কাঠের তৈরী ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে ৩০ টি বস্তা করে উক্ত গম চালান করা হচ্ছিল। এ সময় নৌকাটিকেও জব্দ করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে খালাসের সময় মাদার ভেসেল বা লাইটার জাহাজ থেকে একটি পক্ষ এসব গম চুরি করে অপর একটি পক্ষের কাছে বিক্রি করেন। গত শুক্রবার রাতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত গমের এই চালানটি উদ্বার করে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন হলেন মো. ইদ্রিস। তার বাড়ি কর্ণফুলী থানাধীন দক্ষিণ শাহমীরপুর সওদাঘর পাড়ায়। অপরজন অজ্ঞাত। মূলত চোরাই মাল হেফাজতে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ আজাদীকে বলেন, সম্ভবত মাদার ভেসেল বা লাইটার জাহাজের মাল লোডিং, আনলোডিংয়ের সাথে যুক্তদের একটি পক্ষ গম চুরি করে অপর একটি পক্ষের কাছে বিক্রি করেন। ক্রয়ের পর ক্রেতারা তা গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়ে অভিযান চালায়। ৩০ টি বস্তায় রাখা ছিল ১২০০ কেজি গম। এসব গমের বাজার মূল্য ৪২ হাজার টাকা। প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গম পরিবহনে ব্যবহৃত নৌকাটি আমরা জব্দ করেছি। এ ঘটনায় মো. ইদ্রিস নামের একজন ও অজ্ঞাত অপর একজনের বিরুদ্ধে আমরা দন্ডবিধির ৪০১ ধারায় মামলা দায়ের করেছি। চোরাই মাল হেফাজতে রাখার অপরাধেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা কী তা আমরা খুঁজে বের করব এবং দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। চোরাইকৃত গম ক্রয়ের পর খোলা বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল উল্লেখ করে ওসি মো. একরাম উল্লাহ বলেন, জাহাজের মাল লোডিং আনলোডিংয়ের কাজে যুক্তরাই এ গম চুরি করে। তাদের কাছ থেকে চোরাই গম ক্রয়ের পর তা খোলা বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল মামলার আসামিদের। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।