ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক ড্যান্স কাউন্সিলের সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশি ওড়িশী নৃত্যশিল্পী ও সংগঠক প্রমা অবন্তী। দেশে তিনিই প্রথম ওড়িশী নৃত্যশিল্পী, যিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন। ওড়িশী নৃত্যের প্রবাদ প্রতীম নৃত্যগুরু পদ্মবিভূষণ কেলুচরণ মহাপাত্রর একমাত্র বাংলাদেশি শিষ্য প্রমা অবন্তী। গত ৬ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে।
প্রমা অবন্তী এ প্রসঙ্গে আজাদীকে বলেন,এই স্বীকৃতির ফলে এই বছর থেকে ইউনেস্কোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবো আমি ও আমার দল। শুধু তা–ই নয়, দেশে আন্তর্জাতিক মানের যেকোনো নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজনেও সহায়তা করবে ইউনেস্কো। বাংলাদেশের ওড়িশী নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মভিমেন্ট সেন্টার, চট্টগ্রাম শুদ্ধ ওড়িশী নৃত্য চর্চাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার স্বীকৃতিসরূপ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে প্রমা অবন্তী বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চেষ্টা করে আসছি শুদ্ধভাবে ওড়িশী নৃত্যচর্চাকে দেশের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানকে আরও সামনের দিকে সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগাবে। এই স্বীকৃতি শুধু আমার না আমার সাথে এতটা পথ ধরে হেঁটে আসা আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, আমার ছাত্রীদের। আমি মনে করি স্বীকৃতি নি:সন্দেহে আমাকে এবং আমার প্রতিষ্ঠানকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে দেশে ওড়িশী নৃত্য চর্চার প্রচার ও প্রসারে আমাদের চলমান উদ্যেগকে আরও গতিশীল ও যুগোপযোগী করবে। ওড়িশী নৃত্যের প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য প্রমা অবন্তীকে ইতোমধ্যে অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, চট্টগ্রাম (২০০১), আকৃতি কলাকেন্দ্র, ঢাকা (২০০২), খেলাঘর আসর রাঙামাটি জেলা কমিটি (২০১০), রূপক তবলা একাডেমী ইন্সটিটিউট (২০১২), সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদের (২০১৬) পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্র ২১ বছরে পর্দাপণ উপলক্ষে ওড়িশী নৃত্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য ২০১০ সালে তাঁকে সম্মানিত করেন। পশ্চিমবঙ্গের ‘পৌষালী মুর্খাজী ডান্স একাডেমী’ বাংলাদেশে ওড়িশী নৃত্য প্রচার ও প্রসারের জন্য আজীবন সম্মানে ভূষিত করে প্রমা অবন্তীকে।