ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাস্টার বোমা মিত্রদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে

| সোমবার , ১০ জুলাই, ২০২৩ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

যুদ্ধে সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটন নিয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কিত ওই অস্ত্রটি ইউক্রেনে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। যেটিকে খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউ জিল্যান্ড এবং স্পেন বলেছে, তারা সবাই বিতর্কিত ওই অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে। বেসামরিক নাগরিকদের উপর ভয়াবহ বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে বিধায় বিশ্বের শতাধিক দেশ ক্লাস্টার বোমার উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। খবর বিডিনিউজের।

ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা হলো একটি বড় বোমার মধ্যে অসংখ্য ছোট ছোট বোমা যা বৃহৎ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে। যুদ্ধে এই অস্ত্রের ব্যর্থতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারণ, একটি ক্লাস্টার বোমা থেকে অনেকটা গ্রেনেড আকৃতির যে ছোট ছোট বোমাগুলো বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তার অনেকগুলিই অবিস্ফোরতি অবস্থায় থেকে যায়। ছোট ছোট ওইসব বোমা বছরের পর বছর ধরে মাটিতে অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে এবং যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে বেসামরিক মানুষের প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের যে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার অংশ হিসেবে ক্লাস্টার বোমা পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি মিত্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে নাকি হবে না সেটা নিয়ে তিনি দীর্ঘ সময় চিন্তাভাবনা করেছেন। বাধ্য হয়েই আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কারণ, ইউক্রেনের হাতে থাকা গোলাবারুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণ গেছে ৯০০০ বেসামরিকের
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় আরসার শীর্ষ কমান্ডার নিহত