ইউক্যালিপটাস থেকে প্রকৃতি ও পরিবেশকে বাঁচান

| শনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য প্রাণঘাতী হচ্ছে ইউক্যালিপটাস গাছ। ইউক্যালিপটাসের আদিবাস মূলত অস্ট্রেলিয়ায়। ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ইউক্যালিপটাসসহ দ্রুত বর্ধনশীল বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির গাছ আমাদের দেশে আসে। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশেএ গাছ ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, ইউক্যালিপটাস মাটির ৫০৬০ ফুট নিচ পর্যন্ত পানি শোষণ করে তা বাতাসে ছেড়ে দেয়। এই গাছ রাতদিন ২৪ ঘণ্টাই পানি শোষণ করে বাতাসে ছাড়ে। এর ফলে মাটিতে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। মাটির উর্বরা শক্তি কমে যায়। নেমে যায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। গাছটি যদি বেশি দিন কোনো স্থানে থাকে তাহলে সেখানে অন্য প্রজাতির কোনো গাছ জন্মাতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেললেও মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। এ গাছে পাখি বাসা বাঁধে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গাছের অবাধ বিস্তার বন্ধ করা না গেলে দেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাবে। পাশাপাশি আর্সেনিক ও জিংকজনিত সমস্যাও দেখা দিবে। তাই প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো বন্ধ করা জরুরি।

মো. আশরাফুল ইসলাম

তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবু হেনা মোস্তফা কামাল : আধুনিক শিল্পের অনন্য রূপকার
পরবর্তী নিবন্ধশরৎ বন্দনা