হাটহাজারীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বুধবার (১৯ মে) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কচুয়া এলাকার প্রবাসী জুস মোহাম্মদের ১৩ বছর বয়সী মেয়ের (হাফজা আকতার) ৪নং ওয়ার্ডের জনৈক মো. মুছার ছেলে মিজানুর রহমানের (২৪) সাথে ২০/২৫ দিন পূর্বে আদালতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আজ বুধবার বরযাত্রীদের নিয়ে মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে তুলে আনার দিন ধার্য ছিল। সেই হিসাবে মেয়ের বাড়িতে ঘটা করে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা দেড়টার দিকে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন দেখে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেন।
এসময় ইউএনও আদালতের রেজিস্টারে বিয়ে আইনগতভাবে বৈধ নয় বলে কনে পক্ষকে জানিয়ে দেন।
এ সময় বর ও কনে উভয় পক্ষ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দিয়ে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে বর পক্ষকে তুলে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
ইউএনও মোহাম্মাদ রহুল আমিন ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
একইভাবে মির্জাপুর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান গাজী আলী হাসানও বাল্যবিয়ে বন্ধের কথা স্বীকার করেন।