আড়াই মাস পর খুলেছে কক্সবাজারের হোটেল

বন্ধ থাকছে পর্যটন কেন্দ্র

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৫ জুন, ২০২১ at ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলেছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসগুলো। তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো আপাতত বন্ধ থাকছে। হোটেলগুলো খুললেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ হোটেলে রুম বুকিং নিতে পারবেন না। করোনা সতর্কতায় গত ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র এবং ৫ এপ্রিল থেকে হোটেল-মোটেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন হোটেল-মোটেল মালিক কর্মচারী ও দোকানদারসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এরই প্রেক্ষিতে এক মাস ধরে পর্যটন ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে করে আসলেও কক্সবাজারে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় হোটেল খোলার অনুমতি মেলেনি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজ জানান, শর্তসাপেক্ষে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়া হলেও কেউ শর্ত ভাঙলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে মোবাইল টিম সক্রিয় থাকবে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বলেন, লকডাউনের কারণে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। হোটেলগুলো শর্তসাপেক্ষে চালু করার অনুমতি দেয়া হলেও রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ থাকবে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ থাকবে।
ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন- লকডাউনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে দৈনিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে। পর্যটক আসতে না পারলে হোটেলগুলো খুলেও বেশি লাভবান হওয়া যাবে না।
তিনি জানান- প্রতিবছর দুই ঈদ, দূর্গাপুজা ও ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ পর্যটকের ঢল নামে। তবে করোনার কারণে গতবছর থেকে কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িতদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।
গত বছরের আগস্টে সীমিত পরিসরে পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার পর গত ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ সময় একদিনেই কক্সবাজারে ১০ লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করলে শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, ট্যুর অপারেটরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কক্সবাজার জেলার সমন্বয়ক হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, করোনা সংক্রমণের আধিক্য এখনো অব্যাহত থাকায় কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় পোল্ট্রি শিল্পে ধস
পরবর্তী নিবন্ধসেই ১৩ তলা ভবনে আবার উচ্ছেদ অভিযান