বায়েজিদ বোস্তামি মাজার পরিচালনা কমিটি ও জেএমজি হোল্ডিং এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানি মিলে দোকান বিক্রির নামে ৪৬ জন লোকের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফকরুল ইসলাম। মামলায় হযরত বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.) দরগাহ শরীফ ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, জেএমজি হোল্ডিং এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানির বাণিজ্যিক অংশীদার রফিকুল ইসলাম, নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে ইয়াজ্জেম হোসেন রোমেন এবং আন্দরকিল্লা পেপার প্লাজা মার্কেটের মো. পারেছ মিয়ার ছেলে হারুনুর রশিদকে আসামি করা হয়। ওয়াকফ প্রশাসনের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত ভেঙে অবৈধভাবে দোকান বরাদ্দ ও বিনা টেন্ডারে মসজিদের মালামাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, বায়েজিদ বোস্তামী মাজারের ওয়াকফকৃত জায়গায় জেএমজি হোল্ডিং নামের ডেভেলপার কোম্পানি মিলে বহুতল ভবন নির্মাণ করার কথা বলে প্রায় ৪৬ জন লোকের কাছ থেকে দোকান বরাদ্দের অগ্রিম হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে মাজার পরিচালনা কমিটি ও জেএমজি হোল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ ঘটনার সত্যতা পেয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন। গত ২৪ জুন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন আজাদীকে বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী মাজারের ওয়াকফকৃত জায়গায় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ভবন নির্মাণ করে দোকান বরাদ্দের নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ওয়াকফ প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে মঙ্গলবার চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।