২৬ তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের চট্টগ্রাম এবং রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচে বোলারদের দাপট চলছেই। বিশেষ করে পেস বোলারদের। এরই মধ্যে ম্যাচের গত দুই দিনে পতন হওয়া ২৮ উইকেটের বেশিরভাগই নিয়েছে পেসাররা। ফলে এই ম্যাচটি পেসার এবং ব্যাটারদের লড়াইয়ে পরিনত হয়েছে। ম্যাচের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের পেসার ফাহাদ হোসেনের পেস আগুনে পুড়েছিল রাজশাহীর ব্যাটিং। আর দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর ব্যাটারদের পড়তে হয়েছে আরেক পেসার আহমেদ শরীফের বোলিং তোপের মুখে। এই তরুনের দুর্দান্ত বোলিং এর সুবাধে জাতীয় লিগে টানা দ্বিতীয় জয়ের সুবাস পাচ্ছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে রাজশাহীকে মাত্র ১১২ রানে অল আউট করে দিয়ে চট্টগ্রাম তাদের প্রথম ইনিংসে তুলেছে ২৫২ রান। ১৪০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী ৮ উইকেট হারিয়ে করেছে ২০২ রান। ফলে তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র ৬২ রানে। আজ বাকি দুটি উইকেট হারিয়ে আর কত রান যোগ করতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ম্যাচের প্রথম দিনেই ৬১ রানে এগিয়ে ছিল চট্টগ্রাম। হাতে ছিল দুই উইকেট। গতকাল দ্বিতীয় দিনে আরো ৭৯ রান যোগ করে চট্টগ্রাম। দলকে টেনে নিয়ে যান শামীম পাটোয়ারী। যদিও সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও তাকে হতাশ হতে হয়েছে সঙ্গীর অভাবে। নবম উইকেটে আশরাফুল হাসানকে নিয়ে ৬৭ রান যোগ করেন শামীম। ১০ রান করে আশরাফুল ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। এরপর শেষ ব্যাটার ফাহাদ হাসানকে নিয়ে ১৩ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। ফাহাদকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস ২৫২ রানে থামিয়ে দেন মেহরব হাসান। আর ১২৮ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শামীম। তিনি ২টি চার এবং ৪টি ছক্কা মেরেছেন। রাজশাহীর পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াসি সিদ্দিকী এবং সাব্বির হোসেন। ১৪০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা রাজশাহী ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদ তামিম এবং সাব্বির হোসেন মিলে যোগ করেন ৫৪ রান। ৪০ রান করা তানজিদকে ফিরিয়ে নিজের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন আহমেদ শরীফ। এরপর তার বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতে পারেনি রাজশাহীর ব্যাটাররা। যদিও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাব্বির হোসেন দুর্দান্ত খেলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। ৭১ বলে ৫৪ রান করা সাব্বিরকে ফেরান ইফরান হোসেন। ৪ রান করা মেহরব হোসেনকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে ফেরান আহমেদ শরীফ। এরপর প্রীতম কুমার এবং শাকির হাসান আরেক দফা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে চেপে বসতে দেননি ইফরান হোসেন। ২২ রান করা প্রিতম কুমারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে ফেরান এই পেসার। এরপর আহমেদ শরীফ তুলে নেন একে একে গোলাম কিবরিয়া, সানজামুল ইসলাম এবং ওয়াসি সিদ্দিকীকে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে যান শাকির হোসাইন। দিন শেষে তিনি অপরাজিত আছেন ৪২ রান করে। তার ৭৩ বলের ইনিংসটিতে ৪টি চার এবং একটি ছক্কার মার রয়েছে। চট্টগ্রামের পক্ষে ১২ ওভার বল করে ৪৭ রান খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন আহমেদ শরীফ। দুইটি উইকেট নিয়েছেন আহমেদ শরীফ। দুই ইনিংস মিলিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় দল এখন এগিয়ে রয়েছে মাত্র ৬২ রানে। আজ ম্যাচের শেষ দিনে স্বাগতিক চট্টগ্রামের সামনে লক্ষ্যটা কত দিতে পারে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। তবে চট্টগ্রাম নিশ্চয়ই চাইবে আজ সকালেই দ্রুত রাজশাহীকে অল আউট করে দিতে ।