নিরাপদ সড়ক চাই–নিসচা’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা চালক, গাড়ি, রাস্তার দোষসহ শুধু অন্যের দোষগুলো তুলে ধরি। কিন্তু আমাদের কী দোষ তা কখনো ভাবি না। দুর্ঘটনারোধে আমাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পথচারী হিসেবে আমাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? পথচারী হিসেবে নিজে যে ভুলগুলো করি, তা কখনো দেখতে চাই না। আমাদের উচিৎ নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো খুজে বের করা এবং তা শুধরে নেয়া। তাই আসুন, আমরা আগে নিজেরা সংশোধন হই এবং আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তুলি।
গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়ের একটি কনভেনশন সেন্টারে সড়ক দুর্ঘটনারোধে নিরাপদ সড়ক চাই–নিসচা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি আয়োজিত ‘যত গতি, তত ক্ষতি’ শীর্ষক গাড়ি চালকদের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিরাপদ সড়ক চাই চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এস এম আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব।
সভাপতির বক্তব্যে এসএম আবু তৈয়ব বলেন, সচেতনতা ও সতর্কতার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব। এতে আমরা নিজেরা যেমন সড়কে নিরাপদ থাকব, তেমনি অন্য সবাই নিরাপদ থাকবে। আমাদের দেখতে হবে না রাস্তায় স্বজন হারানোর আহাজারি। তাই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক, পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে বেশি সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা এবং আইন–কানুন মেনে চলার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
চট্টগ্রাম নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ এনামের সঞ্চালনায় সভায় চালকদের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ–সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন (বেলাল), চট্টগ্রাম হালকা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ–সাধারণ সম্পাদক আরশাদ–উর–রহমান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।