আসছে শীত, বাড়ছে শীতবস্ত্রের কদর

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১০ পূর্বাহ্ণ

শীতের আগমনীতে নগরীর মার্কেটগুলোতে কদর বাড়ছে শীতবস্ত্রের। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে শীতের অনুভূতি বেশি। তবে ভোররাতের দিকে শহুরে জনজীবনেও শীত প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ভোরের হিমেল হাওয়া প্রতিনিয়ত শীতের আগমনীর বার্তা দিচ্ছে।
শীতের হিমশীতল অনুভূতি থেকে রক্ষা পেতে অনেকে শীতের কাপড় কিনতে মার্কেটে ঢুঁ মারছেন। বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে শীতের কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিং সেন্টারেও প্রায় একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারা পছন্দের জ্যাকেট, সোয়েটার ও বিভিন্ন ধরনের শাল দেখে পছন্দ হলে কিনে নিয়ে বাড়ির পথ ধরছেন। গতকাল নগরীর টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার,
শপিং কমপ্লেঙ, সানমার ওস্যান সিটি, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, চকবাজার মতি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টারের মতো অভিজাত মার্কেট ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে শীতের কাপড়ের পসরা নিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ হকাররা।
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের ঈদ ছাড়া শীতের বাজারটিও জমজমাট থাকে। এবারের করোনা পরিস্থিতি মাথায় নিয়েও মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরের মতো নিত্যনতুন ডিজাইনের ফ্যাশেনবল শীতের কাপড় নিয়ে এসেছে। ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা সেইসব পোশাক কিনতে ইতোমধ্যে মার্কেটে আসা শুরু করেছেন।
টেরিবাজারে আসা গৃহিনী হুমায়রা সুলতানা বলেন, শীত শুরু হয়েছে, তাই নিজের জন্য এবং বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে এবার গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবে।
রিয়াজুদ্দিন বাজারে আসা বেসরকারি চাকরীজীবী ইমরান আহমেদ বলেন, শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। যদিও এখনো শহরে খুব বেশি শীত পড়ছে না। তবে শেষ রাতে ও ভোরের দিকে শীত শীত লাগে। তাই একটু আগেবাগে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছি।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। সেই সাথে বেচাবিক্রিও বেড়েছে। খুচরার তুলনায় পাইকারী বিক্রি বেড়েছে। গত দুই বছর খুব বেশি শীত না পড়াতে অনেক ব্যবসায়ীর শীতের কাপড় অবিক্রিত থেকে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশূন্যরেখায় গোলাগুলি রোহিঙ্গা মাদক কারবারিদের সঙ্গে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার