লতা মঙ্গেশকর আর আশা ভোঁসলে এই দুই নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই উঠে আসে উভয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রসঙ্গ। লতা মঙ্গেশকর নিজেই একবার মুম্বাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আশা ভোঁসলের প্রথম স্বামী গণপতরাও ভোঁসলের কারণে আশার সঙ্গে তাঁর প্রথম ভুল বোঝাবুঝি। শোনা যায়, গণপতরাও মনে করতেন, লতার কারণে কাজ পান না আশা। চল্লিশের দশকের শেষ দিকে দুই বোন একসঙ্গে গানের জগতে এসেছিলেন। কিন্তু পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে লতা তুলনায় অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন। অন্যদিকে, আশা তখনও লড়াই করে চলেছেন। মুম্বাই সংবাদমাধ্যমকে লতা জানান, গণপতরাও আশাকে তাঁদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করতে আরম্ভ করেন। লতার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। কিন্তু সত্যিই কি গানের জগতে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশা ও লতা? দিদি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার গুঞ্জনে একবার এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন আশা ভোঁসলে। তিনি বলেন, ও আমার দিদি এবং আমার প্রিয় শিল্পী। মানুষ গল্প বানাতে ভালবাসে, সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু রক্ত জলের চেয়ে ঘন। আশা ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, আমার মনে আছে, মাঝে মধ্যে আমরা দু’জনেই যখন এক অনুষ্ঠানে গান গাইতে যেতাম, তখন ইন্ডাস্ট্রির কিছু লোকজন আমাকে উপেক্ষা করে ওঁর (লতা) সঙ্গেই শুধু কথা বলতেন। যেন ওঁরা দিদির প্রতিই অনুগত, তা প্রমাণ করতে চাইতেন। পরে এই বিষয়টা নিয়ে আমি আর দিদি কত হেসেছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান নয়, দু’জনে দ্বৈত সংগীতও গেয়েছেন। যেমন, ‘কেয়া হুয়া ইয়ে মুঝে কেয়া হুয়া’, ‘মন কিউ বেহকা রে বেহকা আধি রাত কো’, ‘যব যব তুমহে ভুলায়া তুমি অউর ইয়াদ আয়ে’, ‘কোই আয়েগা আয়েগা’ সহ আরও বেশ কিছু গানে কণ্ঠ ছিল লতা-আশা দু’জনেরই।