সমসাময়িক শিল্পীদের মধ্য নিজেকে ‘সর্বশেষ মুঘল’ মনে করেন ভারতীয় শিল্পী আশা ভোঁশলে। আট দশক ধরে গানের ক্যারিয়ার টেনে নিয়ে চলা এই শিল্পী বলেছেন, হিন্দি সিনেমা এবং ফিল্মি গানের এমন বহু গল্প তিনি জানেন, যা বলতে শুরু করলে টানা তিন–চারদিনেও ফুরাবে কিনা সন্দেহ। নব্বই বছর বয়সী আশার কথা, সেসব গল্প প্রকাশ হলে অনেকের আবার সমস্যাও হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
আশা বলেন, আমাদের সময়ের শিল্পীদের মধ্যে আমিই সর্বশেষ মুঘল। কত ঘটনা, কত গল্প মাথার মধ্যে আছে। সব বললে অনেকে বিপদে পড়বেন। আবার অনেক কথা মনেও পড়ে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, আশা ভোঁসলের এই কথার ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। ওই ভিডিওতে বড় বোন প্রয়াত কিংবদন্তী শিল্পী লতা মুঙ্গেশকরকেও স্মরণ করেন। চোখ ভরা জল নিয়ে তিনি বলেন, এখন আমি আর কার আশীর্বাদ চাইব? কাকে বলব আমার কষ্টের কথা? আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন বাবা চলে গেলেন। মায়ের পরে লতা দিদি আমাদের বাবার মতো যত্ন নিতেন। তিনি ফেলে চলে গেলেন।
আট দশক ধরে ২০টি ভিন্ন ভাষায় ১১ হাজারেরও বেশি গান গেয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাওয়া শিল্পী আশা ভোঁশলে। বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের হাত ধরে সংগীতজীবনে পা রেখেছিলেন তিনি। সময়টা ছিল ১৯৪৩ সাল। প্রথম প্লেব্যাক করেন মারাঠি ছবিতে। এরপর ১৯৪৮ সালে ‘চুনারিয়া’ ছবিতে ‘খাতু আয়া’ গানের মধ্য দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক জগতে তার যাত্রা শুরু। তিনি প্রথম এককভাবে হিন্দি গানে কণ্ঠ দেন ১৯৪৯ সালে।
সংগীত পরিচালক রাহুল দেববর্মণকে আশা বিয়ে করেন ১৯৮০ সালে, এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। ১৪ বছর সংসার করার পর রাহুল মারা যান। গানের পাশাপাশি রান্না এই শিল্পীর নেশা। রান্নার প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০ বছর আগে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় যুক্ত হন। অনেক দেশেই তার রেস্তোরাঁর শাখা আছে এখন।