হাইকোর্টের আদেশে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। পাঁচদিনের সময় নির্ধারণ করে ব্যাপকভাবে আকারে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে যতদিন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহন কর্তৃপক্ষ–বিআইডাব্লিউটিএ এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে। প্রথম দিনে একটি মার্কেট ও অন্তত ২০টি বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব যৌথভাবে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়েছে। আজও ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলবে। বিআইডাব্লিউটিএ’র কক্সবাজারে দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক খায়রুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে বহুল আলোচিত বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অভিযানে কস্তুরাঘাট এলাকাসহ আশেপাশে নদী দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। প্রথম দিনে বাঁকখালী নদী দখলে অভিযুক্ত বহুল আলোচিত আবদুল খালেক চেয়ারম্যানের নির্মিত একটি মার্কেট ও প্রায় ২০টি অবৈধ বসতবাড়ি বুলডোজার যন্ত্র দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আজ থেকে প্যারাবন কেটে মাত্র দুই বছর আগে গড়ে তোলা বাঁকখালী ব্রীজ সংলগ্ন কলোনির স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ক্রমান্বয়ে মাঝিরঘাট, পেশকার পাড়া, নুনিয়াছড়াসহ অন্যান্য স্থাপনাও উচ্ছেদ অভিযান চলবে।