এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সুন্দর ভেন্যু ধর্মশালার হিমাচল ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটি বাইরে যতটা সুন্দর তার চাইতে বেশি অসুন্দর মাঠের ভেতরের অংশ। বিশেষ করে আউট ফিল্ড। স্টেডিয়ামটির চারপাশের সৌন্দর্যে মন জুড়িয়ে গেলেও চোখ আটকে যাচ্ছে নিচে তাকাতেই। আউটফিল্ডের যে বেহাল অবস্থা। অথচ গত মে মাসে আইপিএলের সময়ও এই মাঠের আউটফিল্ড ছিল সবুজের গালিচা। অথচ এখন সবুজের সঙ্গে সাদার মাখামাখি। ঘাসের নিচেই যে ভারী বালির স্তর। মাঠজুড়েই নানা জায়গায় উঁকি দিচ্ছে বালি। মাঠের অনেক জায়গায় ঘাস উঠে গেছে। বেশ কিছু জায়গা প্যাচপ্যাচে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বালির কারণেই রান আপে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদকে। ম্যাচজুড়েই আউটফিল্ড ছিল বেশ ভারী। বল খুব একটা গতিময়তায় এগোয়নি বাউন্ডারির দিকে। ফিল্ডিংয়ের সময়ও ক্রিকেটারদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ফিল্ডাররা ডাইভ দেওয়ার পর অনেক জায়গাতেই মাঠের মাটি উঠে গর্তের মতো হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এটিকে ‘বিপজ্জনক’ আউটফিল্ডের কাতারে ফেলা যায়। ম্যাচের সময় ধারাভাষ্যকাররাও বারবার সমালোচনা করেন আউটফিল্ডের। ক্রিকেটারদের ইনজুরির শঙ্কাসহ বিপদের জায়গাগুলি তুলে ধরেন তারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ শেষে বলেন আউটফিল্ড বেশ ভারী ছিল। তিনি অবশ্য খুব বেশি গভীরে আর যাননি। কিন্তু আফগানিস্তান কোচ ও সাবেক ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুজিবের ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ টেনে সরাসরিই বলেন আউটফিল্ডের বিপদের জায়গাটি। এই আউট ফিল্ডে ডাইভ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখা উচিত। এমন নয় যে এই কারণেই আমরা হেরেছি। অবশ্যই এটিকে আমি হারের দায় দেব না। তবে অবশ্যই এই দিকটায় সামনে খেয়াল রাখা উচিত। অবশ্য এই মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অত্যাধুনিক এবং ভারতের সেরাগুলোর একটি। প্রবল বৃষ্টি হলেও এখানে বৃষ্টি শেষে ১৫–২০ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করা সম্ভব। আউটফিল্ডও আগে খুব ভালো ছিল। মাঠের আউটফিল্ডের ঘাস এমনিতেই বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আরও ভালো কিছুর চেষ্টায় পুরো মাঠের ঘাস বদলে ফেলে নতুন করে লাগানো হয়। বিপত্তির শুরু সেখানে। পরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে পরিস্থিতি হয়েছে আরও সঙ্গিন। তবে ধর্মশালার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।