আলোচনা মানে সমঝোতা নয় : নওফেল

ওয়ার্ড সম্মেলনে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বহাল থাকবেন-এমন সিদ্ধান্তের কথায় বিস্ময়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলনের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডের আগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়কদের (যারা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন) বহাল রাখার ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের জানানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘উনার সাথে (নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন) আমার আলোচনা হয়েছে, আলোচনা হতে পারে। আলোচনা মানে সমঝোতা নয়।’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল সোমবার আজাদীকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নগরীর ওয়ার্ড সম্মেলন নিয়ে আমাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে- ‘নগরীর ওয়ার্ড সম্মেলনের ক্ষেত্রে নওফেল-নাছিরের মধ্যে সমঝোতা। ওয়ার্ডে আগের যারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আছেন-তারা বহাল থাকবেন।’ এমন অসাংগঠনিক সিদ্ধান্তের কথা কখনো শুনিনি। এখন যেটা বলা হচ্ছে-সেটা তো অসাংগঠনিক সিদ্ধান্তের কথা। এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। আগের কমিটি বহাল থাকলে তো সম্মেলনের আর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হলো একটি ডায়নামিক দল। ডায়নামিক দল হিসেবে-ডায়নামিক সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু আমাকে উদ্ধৃত করে নগরীর ওয়ার্ড সম্মেলন নিয়ে যে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে-তাতে আমি বিব্রত এবং প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে একটি কার্যকারী কমিটি (মহানগর আওয়ামী লীগের) আছে। সিনিয়র নেতারা আছেন, সকল সিদ্ধান্ত কার্যকরী কমিটির সমানে আলোচনা করে নেয়া হবে। এটাই নিয়ম। সম্মেলন হবে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সম্মেলন হলেও আগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বহাল থাকবে বলে আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে যে কথা প্রচার করা হচ্ছে-সেটা ঠিক নয়। এভাবে তো সংগঠন চলে না। এটা তো অসাংবিধানিক-গঠনতন্ত্র বর্হিভূত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আমি তো তৃণমূলের অসংখ্য সম্মেলন করেছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছেন। আমি উনার সামনে বসতে পারি, আলোচনা করতে পারি, আলোচনা এবং সমঝোতা এক নয়।’
ঢাকায় তার সাথে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থাপন করায়-তিনি হতবাক এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারাগারে সেই আমদানিকারক
পরবর্তী নিবন্ধকম খরচে পরীক্ষা করাতে দীর্ঘ লাইন জনবল জায়গা সংকটে ভোগান্তি