চেক প্রতারণার মামলায় বিতর্কিত ই–কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত।
এ সময় আসামিরা উপস্থিত না থাকায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য। খবর বিডিনিউজের।
২০২১ সালে ই–কমার্স খাতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে আয়েশা মার্টের নামও সামনে আসে। এ কোম্পানির বিরুদ্ধেও অনেক ক্রেতা পণ্য না পাওয়ার এবং টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগ আনেন। আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারসহ কোম্পানি সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নয়টি চেক প্রতারণা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৫ জুন এসব মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
মামলার রায় থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলেশা মার্ট লিমিটেড থেকে ছাড়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন অর্ডার করেন। এর বিপরীতে দুই লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন পার হলেও তিনি মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে বাদীকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ ক্রয়াদেশের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট। পরে বাদী ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ‘ডিজঅনার’ দেখানো হয়। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে। পরে ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।