আলুর দাম লাগামহীন, আমদানির সিদ্ধান্ত

জাহেদুল কবির | মঙ্গলবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দেশের বাজারে আলুর রেকর্ড দাম বৃদ্ধি হয়েছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে পইকারী ও খুচরা উভয় পর্যায়ে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আলুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকট রয়েছে। তাই দাম বাড়তি।

তবে ভোক্তারা বলছেন, সরকার পাইকারীতে আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় ৩২ টাকা এবং খুচরাতে দাম নির্ধারণ করে দেয় ৩৫৩৬ টাকা। কিন্তু সরকার দাম বেঁধে দেয়ার পর থেকে একদিনের জন্যও ওই দামে আলু বিক্রি হয়নি। ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন। এখন খুচরাতে ভোক্তাদের প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৬০৬৫ টাকায়। অর্থাৎ দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। এদিকে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে গতকাল বানিজ্য মন্ত্রণালয় আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। আগ্রহী আমদানিকারকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যদিকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিনই অনুমোদনপত্র দেওয়া শুরু করার কথা জানিেয়ছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

নগরীর চাক্তাই খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, অবস্থা বুঝে কিছু কোল্ড স্টোরেজ মালিক কম দামে আলু কিনে মজুদ করে রাখেন। সরবরাহ সংকট তৈরি করে পরিকল্পিতভাবে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। আড়তদারদের বেশি মুনাফা করার সুযোগ নাই। কারণ আলু বেশি দিন গুদামজাত করে রাখা যায় না।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আলুর বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হয় মুন্সিগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজ থেকে। সেখানে ব্যবসায়ীরা কম দামে বিক্রি করলে পাইকারী পর্যায়ে দাম কমবে। পাইকারীতে দাম হলে খুচরা কিংবা ভোক্তা পর্যায়ে দাম কম হবে। এখন আমাদের দেশে আলু কিংবা পেঁয়াজের ক্ষেত্রে দাম বাড়লে প্রশাসন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে অনেক সময় পণ্য আনা কমিয়ে দেন। এতে সরবরাহের সংকট আরো বাড়ে। অথচ অভিযান চালানোর দরকার যেখান থেকে আলু বা পেঁয়াজ সরবরাহ হয়। আমাদের দেশে সিংহভাগ আলু আসে মুন্সিগঞ্জ থেকে। মুন্সিগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজে ব্যবসায়ীরা কম দামে আলু কিনে মজুদ করে রাখেন। তারপর তারা অবস্থা ধীরে ধীরে আলু সরবরাহ করেন। এখন সেখানে যদি অভিযান চালানো হয়, তবে দাম কমবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দামই নিয়ন্ত্রণে নাই। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্য নিয়ে কারসাজি করেন। এখন আলুপেঁয়াজ দুই পণ্যই নিয়ে একসাথে কারাসাজিতে মেতে উঠেছে ব্যবসায়ীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবরোধে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধএমপি প্রার্থী হতে সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনের পদত্যাগ