দৃষ্টিনন্দন সড়কে বান্দরবানের আলীকদমে বদলে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আঠারো ফুটে প্রশস্তকরণ এবং বিশ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কটি নজর কাড়ছে ভ্রমণকারীদের। অপরদিকে সৌন্দর্য বাড়াতে রাস্তার দুপাশে লাগানো ছোট-বড় হরেক রকমের গাছ উপজেলা সড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে আরও বহুগুণ। সড়ক বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে আলীকদম-লাইনঝিড়ি বিশ কিলোমিটার উপজেলা প্রধান সড়কের টেন্ডার দেয়া হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ ফুট প্রস্থের রাস্তাটি ছয় ফুট বাড়িয়ে ১৮ ফুটে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়। সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে বুঝিয়ে দেয়। স্বল্প সময়ে দৃষ্টিনন্দন সড়কটি নির্মাণের ফলে উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ যেমন লাঘব হয়েছে তেমন অপার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে পর্যটনের।
স্থানীয় বাসিন্দার মাকসুদ, হাসান ও রবিউল বলেন, আলীকদম উপজেলা সড়কটির উন্নয়নে ভোগান্তি কমেছে মানুষের। ১২ ফুটের সরু রাস্তাটি ১৮ ফুট প্রশস্ত করায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে লাঘব হবে। সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্যও সুবিধা হয়েছে। আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, উন্নয়নের মূল শর্তই হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আলীকদমের এ দৃষ্টিনন্দন সড়কটি উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। ১৮ ফুটে প্রশস্তকরণের মাধ্যমে সড়কটি ডাবল লাইনে উন্নতি হলো। চকরিয়া থেকে আলীকদম উপজেলা সদর পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়নের ফলে আলীকদম এবং থানচি উপজেলার অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহউদ্দীন চৌধুরী বলেন, মাত্র আট মাসের মধ্যেই বিশ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ এবং ওভারলে কার্পেটিংয়ের সড়ক উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সড়কটি সংস্কার উন্নয়ন কাজে খরচ হয়েছে তের কোটি সত্তর লাখের মত। যেখানে অন্যান্য সংস্থাগুলো প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে এক থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করে। স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে দৃষ্টিনন্দন সড়কটি নির্মাণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে।