আলীকদমে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

শ্রমিকের কাজে শিশুরা

বান্দরবান প্রতিনিধি | শনিবার , ৪ মার্চ, ২০২৩ at ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের আলীকদমে বনাঞ্চল ও জনবসতির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এফবিএম ইট ভাটা। এখানে ইট পোড়াতে কয়লার পরিবর্তে বনাঞ্চল উজাড় করে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। ইট ভাটায় শ্রমিকের পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ বিপজ্জনক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পার্বত্যাঞ্চলের আলীকদম উপজেলায় নিয়মনীতি ও পরিবেশ আইন অমান্য করে বনাঞ্চল এবং জনবসতির অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে এফবিএম ইট ভাটা। প্রতিদিনই বনাঞ্চল উজাড় করে বিভিন্ন জায়গা থেকে জ্বালানি কাঠ মওজুদ, ইটের ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়াচ্ছে এবং আশপাশের ফসলি জমির উপরের ভাগের মাটি (টপসয়েল) ও পাহাড় কেটে ডাম্পার ট্রাকে করে মাটি আনা হচ্ছে ইটের ভাটায়। ইটের ভাটার কালো ধূয়া এবং ধূলা মাটিতে আশপাশে বসবাসরত মানুষগুলো চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ইটের ভাটার বিভিন্ন পাশে জ্বালানি কাঠের স্তুপ, মাটির স্তুপ, দিনের বেলায়ও ট্রাকে ঢুকছে জ্বালানি কাঠ, ডাম্পার ট্রাকে করে আনা হচ্ছে মাটি। ইট তৈরির কাজ করছে অনেক শিশুও। ইটের ভাটায় কর্মরত শিশু মো. রাসেল ও জোবায়ের বলেন, ছয় মাসের জন্য আসছি আলীকদমে ইটের ভাটায়। ইট তৈরি ও ইট শুকানোর কাজ করি এখানে। দুই মাসের বেশি হয়েছে এখানে কাজ করছি।

এফবিএম ইট ভাটার ম্যানেজার মাঈন উদ্দিন বলেন, পিতার মাতার সাথে ইটের ভাটায় এসেছে শিশুরা। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ইট শুকানোর কাজ করছে। বিনিময়ে হাল্কা পারিশ্রমিক পাচ্ছে শিশুরা। তবে এফবিএম ইটের ভাটার মালিক শওকত আলী তালুকদার বলেন, সরকারকে ভ্যাট টেক্স দিচ্ছি। কাগজপত্র ছাড়া ইটের ভাটা করছি না।

বনবিভাগ আলীকদম তৈন রেঞ্জ অফিসার আবুল কাশেম বলেন, কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ অবৈধ। বেশকয়েকবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা করে প্রশাসনবনবিভাগ যৌথ অভিযান চালানো হবে।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোয়াইব বলেন, আলীকদমে অনুমোদিত কোনো বৈধ ইটের ভাটা নেই। অবৈধ ইটের ভাটা বন্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে নির্মাণাধীন একটি ইটের ভাটা মামলা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় আগুনে তিন বসতঘর পুড়ে ছাই অঙ্গার তিন গরু
পরবর্তী নিবন্ধদ্রুতই নির্মাণ হবে চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলী সেতু