চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে দীর্ঘ সময় পড়া থাকা আরো ১০ হাজার কেজি বিপজ্জনক কেমিক্যাল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ২ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শে ৪৮ হাজার ৮৭০ কেজি কেমিক্যাল পণ্য সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় নিয়ে ধ্বংস করা হয়। এসব কেমিক্যালের কিছু আবার বিভিন্ন সময় নিলামে বিক্রির চেষ্টা করে কাস্টমস। এছাড়া অনেক পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় এবং অনেক পণ্যে বিডারদেরও আগ্রহ থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান নিলাম শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংস তালিকায় কঠিন পদার্থ, হাইড্রোজেন পারঅঙাইড, ব্লাঙ্ককিট, ডাইথোনাইট এবং সালফক্সিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু-সলিউশন, কস্টিক সোডা, ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, বেভারেজ কনসেন্ট্রেটসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। এসব কেমিক্যাল গত ২০-২৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের পড়ে ছিল। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার (নিলাম শাখা) ফয়সাল বিন রহমান জানান, চট্টগ্রামে ডিও প্রকল্প না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কেমিক্যালগুলো সুনামগঞ্জে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। সেই মতে আমরা ৪৯ টন কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় পাঠিয়ে দিই। সেখানকার বিশেষজ্ঞরা প্রায় এক মাসে কেমিক্যালগুলো ধ্বংস সম্পন্ন করে। যেহেতু চট্টগ্রামে কোনো ডিও প্রকল্প নেই, তাই ডিও প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী কেমিক্যালগুলো দুই হাজার ডিগ্রি উত্তপ্ত আগুনে পুড়িয়ে কেমিক্যালগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।