৫ সেপ্টেম্বর ছিলো আমার ভালোবাসার পত্রিকা দৈনিক আজাদীর ৬২তম জন্মদিবস। দেরীতে হলেও জন্মদিবসের শুভেচ্ছা। একদম ছোট বেলা থেকেই পত্রিকার নেশা। বাসায় প্রতিদিন পত্রিকা আসতো। তবে আজাদীর সাথে পরিচয় ১৯৮৭ থেকে। তখন আমার পত্রিকা রাখার সামর্থ্য ছিলো না। আমি এক নতুন পরিবারের সদস্য। তখন থেকেই আজাদীর গল্প খুব শুনি। সেই গানের মতো, ‘গল্প শুনেই তারে আমি অল্প অল্প ভালোবেসেছি।’ যতদিন নিজের সামর্থ্য হয়নি, ততদিন, কে আজাদী রাখে খোঁজ রাখতাম। সেটা দোকান হোক আর কোন অফিসই হোক ঠিক পরের দিন নিয়ে আসতাম পড়ার জন্য। এই তো মনে পড়ে স্কুলে রাখতো পূর্বকোণ, কলেজে রাখতো আজাদী। কলেজ থেকে এনে প্রায়শই আজাদী পড়তাম। আজাদীর সাতচল্লিশ বছর পূর্তি থেকে শুরু করলাম আমার বাসায় আজাদী রাখা। পাঠক হিসেবে এক যুগ আমি আজাদী প্রতিদিন রেখেছি। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তালা খুলেই আজাদী হাতে তুলে নিতাম। মূল পত্রিকার থেকেও প্রিয় ছিলো আজ মিশালী, সাহিত্য সাময়িকী, আগামীদের আসর, নারী, খোলা হাওয়া, এছাড়া নববর্ষ, স্বাধীনতা দিবস, শোক দিবস, ঈদ, বর্ষপূর্তির বিভিন্ন সংখ্যা আজও আমার সংগ্রহে আছে। নতুন বছরের দিনপঞ্জিকা ইংরেজি/বাংলা খুব মিস করি। এখন তো আরো কতো নতুন নতুন সংযোজন হয়েছে। তন্মধ্যে সৃজনে মননে উল্লেখযোগ্য। দূরে থাকলেও অন লাইনে পত্রিকা পড়ার সুযোগ আছে তাই আজাদীর ভালোবাসা পাই এখনো। আরো সমৃদ্ধ হোক এর পথচলা এই কামনা। ভালোবাসায় থাকুক প্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজাদী।