সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে গ্রেপ্তারের খবর চাউর হলে ঢাকার এক উপনির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম মিষ্টি নিয়ে থানায় গেছেন, পথচারী ও যানবাহনের চালক–যাত্রীদের মিষ্টি খাইয়েছেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত গুলশান–বনানী ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আরাফাতের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাকে গ্রেপ্তার বা আটকের খবরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এ সময় পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি। উল্টো ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, পুলিশ তাকে খুঁজছে। খবর বিডিনিউজের।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরে কলেজ ছাত্র মাহামুদুর রহমান সৈকতকে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা হয়েছে। এদিন বিকাল থেকে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং পরে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমসহ অনলাইন পোর্টালে খবর রটে সাবেক তথ্য ও সমপ্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপির কয়েকটি ইউনিট ও র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কর্মকর্তারা গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেননি। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, দুপুর থেকেই তারা নিজেরাও এরকম গুজব শুনছেন।
তবে আরাফাতের গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তথ্য না থাকার কথা বলেছেন যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, দুপুর থেকেই অনেকে ফোন করছেন আরাফাতের বিষয়ে খবর জানতে। সবাইকে বলা হচ্ছে তাকে তারা গ্রেপ্তার করেননি। পরে সন্ধ্যায় আবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালানো হলেও তাকে পায়নি পুলিশ।