দুই দিনের ব্যবধানে ফের স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা। আজ রোববার থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূইয়া লিটন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (আজ) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর বৈঠক করে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সেসময় সব থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে স্বর্ণের অলংকার কিনতে ক্রেতাদের বাজুস নির্ধারিত দামের থেকেও বাড়তি অর্থ গুণতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলংকার বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী এক ভরি স্বর্ণের অলংকার কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ছয় হাজার ৭৭২ টাকা গুণতে হবে।
স্বর্ণের নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৭৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৮০ হাজার ৩৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৬৬ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।