করোনার থেকেও ‘মারাত্মক’ অতিমারি বিশ্ব জুড়ে হানা দিতে চলেছে। পরবর্তী অতিমারির জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে বিশ্ববাসীকে। এক সতর্কবার্তায় এমনটাই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
গত মঙ্গলবার ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে দেওয়া প্রতিবেদনে গেব্রিয়েসুস এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার ইতি মানেই কোভিড–১৯ আর বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, এমন নয়। কোভিডের আর একটি উপরূপ হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। যা রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও কোভিডের থেকে আরও মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তিনি সব ধরনের স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় কার্যকর বৈশ্বিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। ‘কোভিড নিয়ে এখনই নিশ্চিন্ত হবেন না। কোভিড অতিমারি একমাত্র আশঙ্কার কারণ নয়। সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী অতিমারি হানা দিতে চলেছে। তখন আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সেই অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।’
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, সেগুলোর ওপর কোভিড–১৯ এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে মত গেব্রিয়েসুসের। এসডিজির ওই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় ঠিক করা হয়েছিল। ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, মহামারী আমাদেরকে নির্ধারিত পথ থেকে খানিকটা সরিয়ে দিয়েছে, তবে এটি একইসঙ্গে কেন এসডিজিকে ধ্রুবতারা বিবেচনায় নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে এবং কেন মহামারী মোকাবেলার মতোই এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও একই দৃঢ়তা ও গরজ দরকার, তা দেখিয়েছে।