দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জন্য আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির আরো ২৬টি মিটারগেট কোচ। এই চালানে এসি কেবিনও এসেছে। এসব এসি কেবিন কোচ গুলো সর্বপ্রথম সোনার বাংলা এক্সপ্রেস এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেসে যুক্ত হবে। অপরদিকে বিজয় ও মেঘনা এক্সপ্রেসের দীর্ঘদিনে পুরনো জরাজীর্ণ কোচ গুলো পরিবর্তন করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত নতুন কোচ সংযোজন করা হবে বলে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমির উদ্দিন আজাদীকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আরো ২৬টি মিটারগেজ কোচ এসেছে। মোট ১৪৭টি মিটারগেজ কোচ আসবে। এর মধ্যে আগে বিভিন্ন চালানে ৮৪টি কোচ এসেছে। এখন এসেছে আরো ২৬টি। এই চালানে কেবিন কোচও আসার কথা। দুই–একদিনের মধ্যে এগুলো খালাস হবে। এসব নতুন কোচ থেকে বিজয় এবং মেঘনা এক্সপ্রেসে যুক্ত হতে পারে। প্রথমবারের মতো সোনার বাংলা এক্সপ্রেস এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেসে কেবিন কোচ যুক্ত হবে। এসব কোচ দিয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে দুটি বিরতিহীন ট্রেন চালুর জন্য পূর্বাঞ্চলের পক্ষ থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম–চাঁদপুর রুটে একটি, চট্টগ্রাম–সিলেট রুটে একটি নতুন ট্রেন চালুর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়ে।
এদিকে কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ শেষে আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের কয়েক মাস পর পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে ঢাকা–চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে এবং চট্টগ্রাম থেকে যে সব ট্রেন চলাচল করবে সবই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত আধুনিক–পরিবেশ বান্ধব কোচ দিয়ে। এসব কোচে যাত্রীদের ভ্রমণ হবে নিরাপদ–আরামদায়ক–স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব।
রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার আজাদীকে বলেন, নতুন ১৪৭টি মিটারগেজ কোচ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসছে। এসব কোচ দিয়ে কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালানো হবে। একই সাথে ঢাকা–চট্টগ্রমসহ অন্যান্য রুটেও নতুন ট্রেন চালু হবে। তিনি জানান, দুই অর্থবছরে (গত অর্থ বছর এবং চলকি অর্থ বছর) মোট ১৪৭টি কোচ আসবে। এরমধ্যে ১১০টি চলে এসেছে। অবশিষ্ট কোচ চলতি অর্থবছরে চলে আসবে।
পাহাড়তলী কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমির উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত প্রকল্পের ১৪৭টি মিটারগেজ কোচের মধ্যে ১১০টি কোচ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়ে পাহাড়তলী কারখানায় নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ট্রায়াল রান শেষে সোনার বাংলা এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ১৮টি করে ৩৬টি কোচ যুক্ত হয়েছে। অবশিষ্ট কোচ গুলো পাহাড়তলী কারখানায় আছে।