আয়ের কোনো উৎস না থাকলেও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের ২৭ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদ রয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে গতকাল মঙ্গলবার এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের আদালত কর্মকর্তা আলী আক্কাস জানিয়েছেন। শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী জামিনে আছেন বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বপালনের সময় তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ছিলেন।
আট কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, তদন্তে শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক। আর তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে শামসুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌসী সুলতানা গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস নেই।