বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচের কেবল একটিতে জেতা দল নিয়ে নানা প্রশ্ন চারদিকে। সেসব উত্তর দিতে টানা দুই সংবাদ সম্মেলনে এলেন শুরুতে সংবাদমাধ্যমকে একরকম এড়িয়ে চলা সাকিব। মাঝে তিনি দেশে ফিরে ছোটবেলার কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে কাজ করেছেন। ফিরে এসে করেন ১৪ বলে ৫ রান। এ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না তার। আগেরবার ৯ ম্যাচে ৬০৬ রান করা এই অলরাউন্ডার এবার ৫ ম্যাচ খেলে করেছেন স্রেফ ৬১ রান। দর্শকদের প্রত্যাশা ভালো করবেন সাকিব। এ নিয়ে প্রশ্ন যেতেই বাংলাদেশ অধিনায়ক উত্তরে বলেন, ‘আমিও পারফর্ম করতে চাই। ’ প্রশ্ন ছিল কীভাবে? এবার উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমিও ওই পথটা খোঁজার চেষ্টাই করছি। ’বিশ্বকাপে সাকিবের সঙ্গে দলের সময়ও ভালো কাটছে না। ছয় ম্যাচের কেবল একটিতে জয়। সবশেষ ম্যাচেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কাছে। এখন বিশ্বকাপে ম্যাচ বাকি তিনটি। দলের লক্ষ্যটা কী? উত্তরে সাকিব বলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে আগামীকালের(আজ) ম্যাচ খেলা ও জেতার চেষ্টা করা। আমাদের সেরাটা করা। দুই পয়েন্টের দিকে তাকানো যেটা নেওয়া সম্ভব। আমরা চেষ্টা করবো নিজেদের সেরাটা করার। আমরা আলোচনা করেছি এ নিয়ে, টিম মিটিং ছিল। আমরা বসেছি আর কথা বলেছি কীভাবে এখনকার পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এটা কাজে প্রমাণ করতে হবে। কথা বলে লাভ নেই যদি সেটা কাজে না আসে। এটা আমাদের মাঠে করতে হবে যেন সবাই দেখতে পারে।’ সাকিব বলেন, ‘আমরাই কেবল পারি দলের পরিস্থিতি বদলে দিতে নিজেদের অ্যাকশন দিয়ে। এটাই করার চেষ্টায় আছি আমি। ’
নেদারল্যান্ডসের কাছে হার নিয়ে সাকিব বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ওদিন তো সবাই অনেক খারাপ ফিল করেছে। কিন্তু আসলে খারাপ ফিল করতে থাকলে তো চলবে না। সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে আমাদের। সবাই সেটা করার চেষ্টা করেছে। আমরা একসঙ্গে বসে আলাপ করেছি, ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছি। যেভাবে করা সম্ভব, যেটা করলে আমাদের মনে হয়েছে হয়তো ভালো কিছু হতে পারে। সেগুলো আমরা করার চেষ্টা করেছি।’ সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে হাসির ফোয়ারা ছুটল। একটা প্রশ্ন শুনে সাকিব আল হাসান হাসলেন বেশ এক চোট। গোটা কক্ষেও হাসির রোল উঠল। চেয়ার ছেড়ে উঠে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক চওড়া হাসিতেই বললেন, ‘মাঝেমধ্যে হাসির দরকার আছে।’ শুধু শেষ দিকেই নয়, ১৩ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে অনেকবারই তাকে হাসতে দেখা গেছে।