নারীরা হলো পরিবারের স্তম্ভ, তাঁর অনুপ্রেরণা ছাড়া কোনও কিছুই করা সম্ভব না। জগতের যেখানেই যে জাতি নারীর অসম্মান করবে, সেই জাতির পতনও নিশ্চিত। নারী কখনো প্রত্যক্ষভাবে কখনো পরোক্ষভাবে নারীর মেধা, শ্রম, অভিজ্ঞতা, দায়িত্বশীলতা ও মমতা জড়িয়ে আছে মানব জাতির বিকাশ ও উৎকর্ষসাধনে। প্রাচীনকালেও সংসার পরিচালনা এবং সন্তান প্রতিপালন ছাড়াও নারীর অংশগ্রহণ ছিলো কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য এমনকি সমরেও। এ যুগেও তো তারা তাদের দুহাত দিয়েই একই সাথে পরিচালনা করছে পরিবার, কর্মক্ষেত্র, সমাজ এবং রাষ্ট্র। তবে খুব অল্পসংখ্যক নারী পান তাদের কাজের স্বীকৃতি ও সম্মান। আর সে জন্যই সমাজে নারীর উপর চলছে এত নির্যাতন। নারীর সম্মান প্রতিষ্ঠা করা গেলেই স্বার্থক হবে নারী দিবস উদযাপন। তাই নারীদের সম্মান করতে শিখুন। শেষ করার আগে কবিতার ছন্দে কিছু কথা বলে যেতে চাই, আমি নারী কখনো মা, কখনো কন্যা, কখনো জয়া, কখনো অনন্যা। আমি নারী কখনো কবির কবিতায়, কখনো কাব্যের নায়িকা। আমি নারী শত বাধা, ঘাত – প্রতিঘাত সয়ে সয়ে একাই সামনে এগুতে পারি। আমি নারী অন্যের সুখে হাসতে হাসতে নিজেকে বিলিয়েও দিতে জানি। আমি নারী সভ্যতার আদিকাল থেকে এখনো লাঞ্ছিত। আমি নারী যাকে তোমরা প্রতিনিয়ত খবরের কাগজে আর মিডিয়াতে ধর্ষণের শিরোনামে দেখছো। আমি নারী ত্যাগ ও ভালোবাসায় মানব জাতিকে করি ধন্য।