আজাদী। আমি আজাদ। মুক্ত। আমি স্বাধীন। আমি ৬৩ বছরের তরুণ। তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা আমার সমস্ত অবয়বে। আমি নবজাগরণের ছোঁয়া এনেছি এ চট্টলায়। সেই কবে উত্তোলিত নীরব আন্দোলনে এগিয়ে চলেছি সরল রেখায়। তৈরি করেছি একপাল কর্মঠ কলম যোদ্ধা, যারা সকাল সন্ধ্যা রাত পার করেছে, করছে আমাকে নিয়ে, আমাকে ঘিরে, আমার একনিষ্ঠ সেবায়, আমার আঙিনায়। তারা অনেকেই আজ বয়সের ভারে ন্যূজ।
কিন্তু আমি? এই দেখ আমি আছি নব নব সৈনিক নিয়ে সর্বদা যুদ্ধে অবতীর্ণ। আমি আছি জনসাধারণের কাছে আজীবন বন্ধু হয়ে। আছি আমি নীরব, আবার সরব সমাজ সেবক হয়ে। আছি নতুন উদ্যোগে পুনর্বাসনের কাজে, আছি ছাত্রছাত্রীদের সহযোগী হয়ে। আমার আদলে আরো অনেকে এগিয়ে এসেছে সমাজের পথিকৃৎ হয়ে। তারাও আমার মতো সমাজ ব্রতে মগ্ন। সমাজে পুনর্জাগরণের সৃষ্টি তো করেছি আমরা। কোথাও অবিচার অনিয়ম কিংবা সমন্বয়হীনতা দেখলেই আমরা জেগে উঠি পূর্ণ শক্তি নিয়ে, আবালবৃদ্ধবনিতার পাশে দাঁড়িয়ে যাই। দায় যেন আমাদেরই। সর্ব সাধারণের সুখে দুঃখে ভাগীদার হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
আমি কখনো বুড়ো হবো না। প্রতিটি জন্মবার্ষিকীই আমার পুনর্জন্ম। তাতেই আমি সাহসিকতার আরও একটা ধাপ যোগ করতে পারি। সমালোচনা যে হয়নি তা কিন্তু নয়। সেগুলোর মুখোমুখি হয়ে কিংবা পাশ কাটিয়ে আমি এগিয়েছি। কথায় আছে না- সমালোচনা কাজের অগ্রগতি বাড়িয়ে দেয় এবং কাজকে সংশোধিত করে। আজ আমি পরিপক্ক। এই চট্টলায় অত্যন্ত বিচক্ষণ, পৌরুষোদীপ্ত, সমাজসেবী বিশাল সাদা মনের মানুষ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মহোদয় এর ঘরে আমার জন্ম। জাতি এধরনের বৃহৎ মনের মানুষের নাগাল পায় যুগে যুগে। আমি তাঁর কাছে এবং তাঁর পরিবারের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আজ এ পরিবারের নামের পাশে আমার ও নাম সুপ্রতিষ্ঠিত।