আমার মা এক ছায়াবৃক্ষ

আফরোজা এনাম | রবিবার , ১২ মে, ২০২৪ at ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

অস্তিত্বহীন মাংসপিণ্ড থেকে পূর্ণাঙ্গ মানবগঠনে অমূল্য যে সত্তার ভূমিকা অনন্য, তিনিই হলেন ‘মা’ যাপিত জীবনে মূল্য নির্ধারণে যিনি অনির্ণেয়। কথার উপমা, ভাষায় অলংকার কম পড়ে যার কাছে, তিনি হলেন আমার মা নূর আক্তার বেগম, আনোয়ারা বেলচূড়া গ্রামের চৌধুরানী জমিদার বাড়ির সন্তান হয়েও শ্বশুরবাড়িতে এসে কতো না জীবন সংগ্রাম করে ছায়া বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে গেলেন। জীবনে চলার পথে ঝড়জলোচ্ছ্বাস সামাজিক জঞ্জাল, বাধা বিপত্তি কোনো কিছুই আপনাকে থামিয়ে দিতে পারেনি। আমার মা বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পটিয়া আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।

জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার উপস্থিতি আতিশয্য পাওনা আমার। সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে আমিত্বকে বাঁচিয়ে রেখে সগৌরবে আজও ছায়াবৃক্ষের ন্যায় আছো আমাদের জীবনে। যেখান থেকে আমরা বাঁচার জন্য অক্সিজেন পাই, ক্লান্তি আর জীবনের ছন্দপতনে এগিয়ে চলার প্রেরণা পাই। মা তুমি ছিলে আমরা তিনবোন ও একমাত্র ভাইয়ের বাতিঘর। খুব গর্ব হয় যখন গ্রামে সবাই বলে তুমি রত্না গর্ভা, আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর। তোমার ছায়াবৃক্ষের দোয়ার বরকতে আমরা তিনবোনে আজ স্ব স্বভাবে প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেক সন্তানের কাছে নিজের মা যেন তার পৃথিবী। কিন্তু তারপরও কেন জানি মনে হয় তুমি সবার চেয়ে আলাদা। স্বার্থহীন, উদার, ত্যাগী ও স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার ‘ছায়াবৃক্ষ’ আমার মা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘মায়ের মত আপন কেহ নাই’
পরবর্তী নিবন্ধমা তোমার স্মৃতির জলছবিতে