আমার মা-আমার জীবনের আশ্রয়বৃক্ষ

আনোয়ারা রিনু | বুধবার , ১৮ জুন, ২০২৫ at ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

মাএকটি শব্দ, যার মাঝে লুকিয়ে আছে হাজারো গল্প, অনুভব, আর অশেষ ভালোবাসা। ছোটবেলা থেকে আজ অবধি যার স্পর্শে জীবন পেয়েছে স্থিরতা, সেই মায়ের মুখটা যেন পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির ঠিকানা।

একটি চুপচাপ দুপুর, দরজার পাশে বসা এক প্রিয় মুখ, হাতের ছোঁয়ায় পরোটা ছিঁড়ে মেঝেতে রাখা থালায় তুলে দিচ্ছেন আদর মিশে যাওয়া খাবার। পাশে রাখা মোবাইল ফোন, হয়তো কারো খোঁজ নেওয়ার অপেক্ষায়। এই মুহূর্তটি যেন শুধুই মায়ের, আর তাঁর অবিনশ্বর ভালোবাসার। কোনো বিলাসিতা নেই, নেই জাঁকজমক, তবু এটাই সবচেয়ে মধুর দৃশ্য, এক নিঃশব্দ আশীর্বাদ।

তিনি কখনো ক্লান্ত হন না আমাদের জন্য। রান্নাঘরে থাকা তাঁর হাতেই যেন লুকিয়ে থাকে স্নেহের স্বাদ। একটা সময় ছিল, যখন আমাদের সংসার খুব সাদামাটা ছিল, তবু মা’র ভালোবাসার অভাব ছিল না একটুও। ছোট্ট একটি ফোনে বাবার খবর নেওয়া, আবার খাবারে আমাদের পছন্দটা রাখা, সবই করতেন নিঃশব্দে।

মায়ের হাতে রুটি ভাজা,

তপ্ত দুপুর ঘাম ঝরা।

তবু হাসি তার মুখের কোণে,

ভালোবাসা থেমে না।

মায়ের চোখে দীপ্ত আলো,

জীবনের সব ক্লান্তি ঢালো।

একটা দোয়েল ডাকে জানালায়,

মা তখন ছায়া ভালোবাসায়।

তাঁর চুলে রূপালি রেখা,

আমার স্মৃতির পাতা দেখা।

আজও মা বলেন-‘খেয়েছিস তো?’

আমার বুকটা তখন ভরে ওঠে।

মা হচ্ছেন সেই মানুষ, যিনি আমাদের ব্যথা বোঝেন ভাষা ছাড়াই। তিনি বলেন না, তবুও তাঁর প্রতিটি কাজেই যেন লেখা থাকে ভালোবাসার কবিতা। এই জীবনটা যতটুকু সুন্দর হয়েছে, তার পেছনে মায়ের অবদান নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমার বাবা
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে