মানসিক শক্তির কারণেই- আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা অর্জন করা যায়, যা জীবনকে অর্থবহ করে তোলে, উদ্দেশ্যমূলক করে তোলে। একটি সত্যিকারের জীবন মানুষকে উৎসাহ দেয় নানান সৃজনশীল কাজে। সেখানে এক নিষ্ক্রিয় জীবন তার পরিবর্তে সৌন্দর্য, শিল্প আর প্রকৃতিতে নিজের পূর্ণতা খুঁজে পায়। আবার এমন অনেকে আছে, যাদের জীবনে সৌন্দর্য, সৃজনশীলতা বা প্রকৃতির কোনো জায়গা নেই। কেবল একটা জিনিস তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় তীব্র নৈতিকতাবোধ। যদি জীবনে সত্যিই কোনো অর্থ থাকে, তাহলে হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। যন্ত্রণা ভোগ করা জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ -যন্ত্রণা ছাড়া মানবজীবন সম্পূর্ণ হতে পারে না। সংসারজীবনে দুঃখ -কষ্ট -দুর্দশা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে থাকলে অনেকেই খুশি। আমরা জীবনকে ভালোবাসি ভীষণভাবে। যা-যা ভালোবাসি, যতটুকু করি সংসারের যাবতীয় করেই করি। সে-ই আত্নবিশ্বাস আর কিছুই নয়, শুধু জীবনকে উপভোগ এবং জয় করার দৃ্ঢ় প্রতিজ্ঞ। কেউ কেউ আমার ভালো লাগাকে কটাক্ষপাত করে। যারা মন্তব্য করে তাদেরও কটাক্ষ করা হয়। আমার অনুরোধ তোমাদের ভালো লাগাগুলো পূর্ণতা পাক। আমি তোমাদের ভালোবাসি। ভালোবাসা দিবো দ্বিগুণ। কারো কারো কথার আঘাতে যত না কষ্ট পাই,তার চেয়ে বেশি কষ্ট পাই অন্যায্য -অন্যায় আচরণে। মানুষের জীবনের দুঃখ – কষ্ট আপেক্ষিক। একটা ছোট্ট কষ্ট যেমন মানুষকে কাতর করে ফেলতে পারে, আবার ছোট্ট ছোট্ট আনন্দ, প্রাপ্তি ও সব দুঃখ- কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারে। লেসিংয়ের একটি উক্তি মনে পড়লো। তিনি বলেছিলেন,‘যা কিছু হারিয়ে ফেলো সেটা তোমার কারণেই। যা কিছু হারিয়ে ফেলো না, সেটাও তোমার কারণেই’। মানুষের জীবন মাত্র একবারই পৃথিবীতে আসে। সেই জীবনকে কেন আমি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবো? মানুষ হিসেবে যতটুকু পারি সার্থক করে মহত্ত্বের মুকুট যেনো পরাতে পারি।
