বলতে পারি আমরা সবাই শিক্ষিত, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের শিক্ষাকাল মাতৃক্রোড়ে। মা যা যা বলে আমরা সেটা শিখি মা আমার প্রথম শিক্ষক তারপর বাবার হাত ধরে চলতে চলতে যেটা শুনি সেটা শিখি অত:পর পাঠশালায় গিয়ে অক্ষর জ্ঞান শিখি, এভাবে আমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠি।
এভাব চলার পথে প্রতিটি ক্ষণে আমরা শিখতে থাকি মৃত্যু অবধি। সে হিসাবে বলতে পারি আমরা সবাই শিক্ষিত, সেটা স্বশিক্ষা কিম্বা প্রাতিষ্ঠানিক। কিন্তু আমরা কি বলতে পারি আমরা সবাই মানবিক মানুষ হতে পেরেছি? একজন মানবিক মানুষের গুণাবলী আমরা অর্জন করতে পেরেছি? আজ পৃথিবী জুড়ে চলছে অশান্তি, দিনদিন বেড়ে চলেছে নির্যাতন, হত্যা, রাহাজানী, আমরা হয়ে উঠছি অশান্ত, কোথাও স্বার্থের জন্য হানাহানি করি, কোথাও ক্ষমতা বা আধিপত্য বিস্তারের জন্য লড়াই করি, কোথাও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একে অপরকে নির্যাতন করি। ক্ষুদ্রস্বার্থে আজ আমরা মানবিকতা বিসর্জন দিয়ে হয়ে যাচ্ছি নির্মম নিষ্ঠুর পাশবিক। আমরা কি পারি না ক্ষুদ্রস্বার্থ ত্যাগ করে মানবিক হতে?
আমরা মানবিকতা অর্জন করতে পারি ধর্মীয়, সামাজিক রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক জ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে। আমাদের মূলমন্ত্র হওয়া চাই মানুষের কল্যাণ, জাতির ও সমাজের কল্যাণ।
মানুষকে মানুষ বলা হয় কারণ মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে মানবিকতা আছে, বিবেক বোধ আছে, ভালো–মন্দ পরখ করার ক্ষমতা আছে যা অন্য কোনো প্রাণীর নেই। তাই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের হতে হবে মানবিক আমাদের মধ্যে থাকতে হবে মনুষ্যত্ব। তাহলে ফিরে আসবে শান্তি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং সেদিনই বলতে পারবো আমরা মানবিক মানুষ।