সমাজে তাদের পরিচয় আমদানিকারক হিসেবে। ব্যবসায়ীদের সাথে মিটিং এবং নিজেদের অবস্থানের জন্য তারা বেছে নেন দামি হোটেল। এরপর সহযোগীদের মাধ্যমে তেল ও চিনি বিক্রির কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। টাকা নেওয়ার পর চলে যান আত্মগোপনে। প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগীরা গোয়েন্দা পুলিশের দ্বারস্থ হন।
সিএমপির গোয়েন্দা শাখা (বন্দর–পশ্চিম) গত শুক্রবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে এ চক্রের ছয় জনকে। তারা হলেন, শেখ জাহাঙ্গীর কবির (৪৬), মোহাম্মদ আলী (৫১), মো. ওয়াসিম আহমেদ (৩৭),
মো. নাজমুল হুদা খান (৪৬), মো. রাজিবুল হক বাবু (৩৮) ও মো. শাহজালাল (৫৩)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির ও মোহাম্মদ আলী প্রতারক চক্রের মূল হোতা বলে জানিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা।
সিএমপির উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিবি–বন্দর ও পশ্চিম) মো. আলী হোসেন আজাদীকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তেল ও চিনির আমদানিকারক পরিচয় দিয়ে চক্রটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর তারা গা ঢাকা দেয়। এ কারণে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।