আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নীতিমালা সহজ করতে হবে

চট্টগ্রাম কাস্টমস্‌ কমিশনারের সাথে সাক্ষাতাকালে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দ

| মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বিজিএমইএ’র সহায়ক কমিটির সদস্য এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দ গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০:৩০ টায় চট্টগ্রাম কাস্টমস্‌ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক এ.এম. মাহাবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর, বিজিএমইএ’র অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও কাস্টমস্‌ হাউজ, চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ।

বিজিএমইএ’র সহায়ক কমিটির সদস্য এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্পের পণ্য আমদানিরপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস্‌ ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে অর্থ্যাৎ ৮১.২৯% তৈরী পোশাক শিল্প থেকে। এ শিল্পের মাধ্যমে দেশের যতটুকু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার কাস্টমস্‌ হাউজ কর্তৃপক্ষ। অতীতেও কাস্টমস্‌ ও বিজিএমইএ একে অপরের পাশাপাশি থেকে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করেছে। বর্তমান সময়ের পরিক্রমায় নতুন করে উদ্ভুত নানাবিধ সমস্যা দ্রুত সমাধানে আমাদেরকে এক সাথে কাজ করতে হবে। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করা গেলে রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন করা সম্ভব। ইতিমধ্যে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র গুলো পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের কারণে তৈরী পোশাক শিল্পের ক্রেতারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেছেন। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো এই সুযোগটুকু কাজে লাগাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরাও চাই ক্রেতারা আমাদের দেশকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুক। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও হয়রানি বিহীন নীতি সহায়তা, যা কাস্টমস্‌এর উপর অনেকাশেংই নির্ভরশীল। তিনি আরো বলেন, জাতীয় স্বার্থে রপ্তানি লীড টাইম রক্ষায় উক্ত কাস্টমস হাউজের আদেশ নং১৯০ তারিখ২০/০৬/২০১৬ এবং ১৯৪ তারিখ২৮/০৭/২০১৬ বাতিল পূর্বক পোশাক শিল্পের এল/সি ভিত্তিক ও এফ..সি ভিত্তিক উভয় আমদানিতে একই পদ্ধতিতে জরুরি নির্দেশনাসহ সকল প্রকার পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ নং() শুল্ক: রপ্তানি ও বন্ড/৯৭/৯৭৬৯৯৩, তারিখ১২/০৬/১৯৯৭ মতে দ্বিতীয় শুল্কায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি আদেশ জরুরি।

বিজিএমইএ প্রাক্তন পরিচালক এ.এম. মাহাবুব চৌধুরী বন্দর জেটিতে পণ্য পরীক্ষণে জটিলতা পরিহার ও ওভেন কাপড় খালাস কালে কেজির পাশাপাশি মিটার / গজ উল্লেখের অপশন চালু করা ও বিল অব এঙপোর্ট বাতিল করার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণের গুরুত্বারোপ করেন।

বিজিএমইএ প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসে ফাস্ট এ্যাপরেচমেন্ট প্রদান বন্ধকরণ ও শর্টশিপমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যার উপর দীর্ঘ আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ প্রাক্তন পরিচালক সাইফ উল্লাহ মনসুর কতিপয় শিপিং লাইনের জালিয়াতির উপর প্রত্যক্ষ প্রমান প্রদান করে কাস্টমস্‌কে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

কমিশনার, কাস্টমস্‌ হাউজ, চট্টগ্রাম জনাব মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও রপ্তানি যথাসময়ে সম্পাদনে কার্যক্রম সহজীকরণ এবং পোশাক শিল্পের আমদানিরপ্তানি সংক্রান্ত বিরাজমান সমস্যা সমূহ পারষ্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে দ্রুত সূরাহাসহ রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস্‌ হাউসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মাক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলামী সংস্কৃতির উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে কৃষকের হাট ও পৌর তথ্যসেবা কেন্দ্র উদ্বোধন