আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব

নাগরিক শোকসভায় বক্তারা

| রবিবার , ১২ জুন, ২০২২ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

 

অমর একুশে গানের রচয়িতা দেশবরেণ্য সাংবাদিক, আবদুল গাফফার চৌধুরীর নাগরিক শোকসভা গত ৯ জুন চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে সংগঠনের আহ্বায়ক মঈনুদ্দীন কাদের লাভলুর সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম। প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফর আলী, অ্যাড. আবু মোহাম্মদ হাশেম, ভানুরঞ্জন চক্রবর্ত্তী, কবি সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল, মো. খোরশেদ আলম, হাজী ইউনুছ কোম্পানী, আলী নেওয়াজ, জে বি এস আনন্দবোধি ভিক্ষু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান। বক্তব্য রাখেন সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলন, প্রণবরাজ বড়ুয়া, অ্যাড. টিপু শীল জয়দেব, হারুন রশিদ, এস এম দিদারুল আলম, সজল দাশ, মাহবুবুর রহমান, রোজী চৌধুরী, পারভীন চৌধুরী, রোকসানা করিম পলি, রাশেদা আক্তার সুমি, প্রিয়াংকা মন্ডল, রিমন মুহুরী, আসিফ ইকবাল, ইয়াসমিন কবির, রতন ঘোষ, মোহাম্মদ তিতাস। বক্তারা বলেন, লেখনিকণ্ঠশীলন ও দুরদৃষ্টি ছিল চমৎকার। বক্তারা আরো বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখনির প্রতিটি শব্দ দেশকে ভালোবাসার তাগিদ দিতেন। তিনি অপসংস্কৃতি, ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ট লেখা সংগ্রামী হয়ে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগায়। বক্তারা বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী কালেও প্রতিটি আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।

ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে তাঁর কবিতা ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরবর্তী সময়ে এটি বিশ্বখ্যাত গান হিসেবে বাঙালির মুখে মুখে সমাদৃত হয়েছে। বক্তারা ভাষা সৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর সৃষ্টিশীল সাহিত্য, কবিতা ও কলামগুলো সরকারিভাবে পুস্তক আকারে সংরক্ষণ করার দাবি জানান। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামকরণে একটি ছাত্রবাস প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার ভার্সিটিতে আমেরিকান সেন্টার পপ আপ ১৫ জুন
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী গ্যাস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন সম্পন্ন