আফগানিস্তানের কান্দাহারে একটি শিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে ৩৫ জন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের সময় ইমাম বারগাহ মসজিদ নামে পরিচিত বিবি ফাতিমা মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, এটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে তারা জানতে পেরেছে।
আফগানিস্তানে কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে একই ধরনের একটি বোমা হামলার এক সপ্তাহের মাথায় কান্দাহারের মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটল। হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
মসজিদের ভেতরকার ছবিতে জানালার ভাঙা কাচ এবং মাটিতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মেঝেতে শুয়ে কাতরাতে থাকা আহতদের সাহায্যে অনেকেই এগিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা মসজিদের প্রধান ফটকে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানায়। বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি লোকে লোকারণ্য ছিল। ঘটনাস্থলে অন্তত ১৫টি এম্বুলেন্স দেখা গেছে। আহতদেরকে স্থানীয় মিরওয়াইস হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন এবং ৬৮ জন আহত মানুষকে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
কান্দাহারের এক স্থানীয় সাংবাদিক রয়টার্সকে জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা তিন আত্মঘাতী হামলাকারীর হামলা চালানোর বর্ণনা দিয়েছে। তারা জানায়, এক হামলাকারী মসজিদের প্রবেশপথে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এবং অন্য আরও দুইজন মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কুন্দজ শহরের শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়। পরে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
এবার কান্দাহারের মসজিদে বিস্ফোরণের জন্যও তালেবানের ঘোর বিরোধী ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখা আইএস খোরাসানকেই (আইএস-কে) সন্দেহ করা হচ্ছে।
আইএস-কে গোষ্ঠীর সুন্নি যোদ্ধারা অতীতে বারবারই শিয়া সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে মসজিদে, স্পোর্টস ক্লাবে ও স্কুলেও। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তারা তালেবানের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে।