অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী জীবন দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে জাতি তাদের কখনো ভুলবেনা এবং তাদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর যারা আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের নিরাপদ জীবন দিতে হবে, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, এসব শিক্ষার্থীরা সুস্থ না হলে, পুনর্বাসিত না হলে আমরা ভালো থাকব না। সুতরাং আহতদের চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। গোটা জাতিই তাদের পাশে আছে। তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনে সব ব্যয় সরকার বহন করবে। এমনকি, কারও যদি দেশের বাইরে নিয়ে গিয়েও চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়, তার ব্যবস্থাও সরকার করবে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্রে স্মরণ করেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স–মাস্টার্স) মাদ্রাসার আহত ও কারামুক্ত ছাত্রদের দেখতে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং আল্লামা শাহ মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ.) ও বাহরুল উলুম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন (রাহ.) এর জেয়ারত শেষে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বায়তুশ শরফ দরবার ও বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সার্বিক উন্নয়নে ও সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক, জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল–আমিন হোসাইন, হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, অধ্যক্ষ আবু সালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ, মামুনুর রশীদ নূরী, ড. জাহেদ হোসাইন, বোরহান উদ্দিন মো.আবু আহসান, উপাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক শাব্বির আহমদ, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম শাকিল, কাজী নুরুল হুদা, কাজী শিহাব উদ্দিন, হাফেজ মুফিজ উদ্দিন, আলমগীর ছিদ্দিকী, কাজী আবদুল হান্নান জিলানী,আবদুল ওয়াহিদ, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি