ইঞ্জিন বিকল হয়ে আন্দামান সাগরে ভাসছে ৯০ রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার। ইতোমধ্যে গত দুদিনে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই ট্রলারের এক যাত্রী। খাদ্য ও পানির অভাবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা তাদের উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি আহবান জানানোর পর ওই ট্রলারের আশেপাশে থাকা ভারতীয় নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ভাসমান জাহাজের মানুষগুলোর জন্য খাদ্য, পানি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হলেও তাদেরকে উদ্ধার করে কোন দেশে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি তারা। ট্রলারে থাকা যাত্রীরা বিষয়টি মোবাইল মেসেজে নিশ্চিত করলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা কেউ স্বীকার করেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কঙবাজার উপকূল দিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ৩ জন বাংলাদেশি ও ৮৭ জন রোহিঙ্গা নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ট্রলারটি। ৩ দিন পর পথিমধ্যে ইঞ্জিন বিকল হয়ে এটি আন্দামান সাগরে ভাসতে থাকে। এরিমধ্যে তাদের সাথে থাকা খাবার ও পানি শেষ হয়ে পড়ে। এতে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। পানি সংকটও তীব্র হয়। গত দুই দিনে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই ট্রলারের এক যাত্রী শাহ আলম। এর মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী বলে জানান তিনি। ঐ যাত্রী জানান, থাইল্যান্ড-ব্যংকক থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়। ওই এলাকার ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করেছেন। ভাসমান ট্টলারটির খুব কাছেই রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ। ওই জাহাজের ভারতীয় নৌ বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি সরবরাহ করেছে। হয়তো জাতিসংঘের অনুরোধে ভারত সরকার এ কাজটি দেখভাল করছেন। শাহ আলম আরো জানান, নিজেসহ অন্তত ৮১ জন মানুষের জীবন রক্ষা পেলো ভারতীয় নৌ বাহিনীর সহায়তায়। এখনো তারা আন্দামান সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা হবে নাকি কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা।










